শিক্ষার বিপর্যয় কাটাতে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কারও মেরুদণ্ডে সমস্যা দেখা দিলে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, যা চিকিৎসায় উপশম হতে পারে। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থায় সংকট দেখা দিলে জাতির দীর্ঘস্থায়ী ও অপূরণীয় ক্ষতি হয়। বিশ্বব্যাপী করোনার এ মহাদুর্যোগের সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি পর্যুদস্ত। ১৫ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অর্থনীতিসহ জীবন-জীবিকার প্রায় সব ক্ষেত্রই স্বাভাবিক হতে চলেছে। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে সংকট খুব বেশি নিরসন করা যাচ্ছে না।

image-434377-1624341795

একটি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অনেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন। এর আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি। পৃথিবীর অনেক দেশেই করোনা সংক্রমণের অবস্থা ঊর্ধ্বমুখী। অনেক দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবারও বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে যে, টিকা সহজলভ্য হওয়ার পর তা গণহারে প্রদানের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আগে অথবা সংক্রমণ সহনীয় মাত্রায় না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নাও হতে পারে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী গত ১৫ জুন বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি উদ্বেগের সঙ্গে বলছিলেন, তার শিশু শ্রেণি, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছেলেমেয়েরা সব পড়াশোনা ভুলে যাচ্ছে। এ বাচ্চাদের পড়ালেখা শ্রেণিকক্ষেই সম্পন্ন করতে হয়। দরিদ্র পরিবারের শিশু-কিশোর-কিশোরী অভাবের কারণে শ্রমের দিকে ঝুঁকছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও তাদের বিদ্যালয়ে ফেরানো কঠিন হবে। তাই শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার ব্যাপারে দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অতি দ্রুত সঠিক, সুচিন্তিত ও বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক।

ভালোভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে, শিক্ষার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সারা দেশে একই পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচি দিয়ে অভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে। সারা দেশে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অভিন্ন একাডেমিক ক্যালেন্ডারের আওতায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে, এমনকি পরীক্ষাও একই সময়সূচি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে সারা বছর ধরেই চলে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ধারাবাহিকভাবে চলে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায়। কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চয়ই তালিকা আছে কোন শিক্ষক বা প্রশিক্ষক কোন বিষয়ের ওপর সুন্দর ও সাবলীলভাবে ক্লাস-উপস্থাপনা করতে পারেন। এমন চৌকস শিক্ষকদের দিয়ে অতিদ্রুত বিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক ক্লাস লেকচারের ভিডিও প্রস্তুত করা প্রয়োজন। তবে লক্ষ রাখতে হবে ক্লাস লেকচারের ভিডিও যেন সহজবোধ্য, উপভোগ্য ও আকর্ষণীয় হয়। শিক্ষার্থীরা যেন আনন্দের সঙ্গে আগ্রহ নিয়ে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে চায়। ভিডিও প্রস্তুতির সময় শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগ সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারে।

এর পর আসে ক্লাস সম্প্রচারের বিষয়। করোনা-পূর্ববর্তী স্বাভাবিক সময়ে স্কুল-কলেজে যে সময়সূচি অনুযায়ী ক্লাস হতো, ঠিক সেই সময়সূচি মতোই ক্লাস সম্প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে বর্তমানে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ টিভি ছাড়াও তিরিশের অধিক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আছে। প্রতিটি শ্রেণির ক্লাস সম্প্রচারিত হবে পৃথক পৃথক টিভি চ্যানেলে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যে সময়ে ক্লাস করত সে সময়েই ক্লাসে অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু সরাসরি ক্লাসরুমে নয়, নিজের বাসা-বাড়িতে টেলিভিশনের সামনে। ক্লাস সম্প্রচার শুরুর আগেই ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে- যেন সারা দেশের মানুষ জানতে পারে কোন টিভি চ্যানেলে কোন শ্রেণির ক্লাস সম্প্রচারিত হবে। এ প্রচারণার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকায় থাকবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকরা, যাতে করে সর্বাধিকসংখ্যক শিক্ষার্থীর ক্লাসে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।

এ উদ্যোগ সফল করতে হলে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বেশি জটিলতা হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। দেশের প্রায় সব বাসাবাড়ির শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। এ শিশুদের সময়মতো টেলিভিশনের সামনে বসাতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির সময় অভিভাবকদের মোবাইল ফোন নম্বর বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিস্টারে থাকে। অভিভাবকদের ফোন করে বুঝিয়ে এ কাজটা করা সম্ভব। শিক্ষকরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সহায়তা নিতে পারেন, কারণ তারা ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এ ক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারে। একটা উপজেলার সামগ্রিক বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বয় করবেন। এরপরও কিছু এলাকার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল অথবা অতিদরিদ্র অধ্যুষিত এলাকা আছে- যেখানে বিদ্যুৎ নেই, টেলিভিশন নেই, যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। এ ধরনের ক্ষেত্রে শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে ভালো অভিজ্ঞতা আছে এমন এনজিওগুলোর সহায়তা নেওয়া যায় (যেমন- ব্র্যাক, প্রশিকা), যাতে তাদের সাহায্য নিয়ে ক্লাস সম্প্রচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের ক্লাসে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও সম্মানিত শিক্ষকরা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই শিক্ষার্থীদের টিভি ক্লাসে অংশগ্রহণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শিশু শ্রেণি থেকে উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত ক্লাস সম্প্রচারের জন্য ১৩টি টিভি চ্যানেলের প্রয়োজন হবে। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের উদার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মাদ্রাসার ক্ষেত্রেও ইবতেদায়ি, দাখিল ও আলিম পর্যায়ের ক্লাসগুলো একইভাবে টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার করতে হবে। স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের মাধ্যমে অনলাইনে ক্লাস করার চেয়ে টিভির সামনে বসে ক্লাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, মঙ্গলজনক এবং তা অভিভাবকদের তদারকি করাও সহজ হবে। অনলাইন ক্লাসের ক্ষেত্রে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা নেই; আর থাকলেও স্পিড খুব কম। এ ছাড়াও ইন্টারনেটের খরচ বহন করা অনেক অভিভাবকের পক্ষেই সম্ভব নয়। স্কুল-কলেজ পর্যায়ে যে শিক্ষকরা পাঠদানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থী তথা অভিভাবকদের সমন্বয় করতে পারলেই টিভি ক্লাসে সর্বাধিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে সার্বিক দিকনির্দেশনা দেবে এবং সামগ্রিক তত্ত্বাবধান করবে। এভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে অংশগ্রহণ করানো গেলে তারা পড়াশোনার মধ্যে থাকবে, মানসিকভাবে ভালো থাকবে। পাঠদান কার্যক্রম সম্পাদন করা গেলে অনুকূল পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে অথবা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের প্রমোশন দেওয়া সহজ হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষামন্ত্রী এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প পদ্ধতির কথা বলেছেন। বছরের শুরুতেই কোটি কোটি ছাত্রছাত্রীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়া হয় যে দেশে, সেদেশে করোনাকালীন এ সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস।

দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করোনা মহামারির প্রায় শুরু থেকেই অনলাইন ক্লাস শুরু নিয়ে আসছে এবং পরীক্ষাও নিচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা হলো তাদের শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই শহুরে এবং অনেকাংশে ধনিক শ্রেণির। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বৃহৎ অংশ গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। তারপরও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে। গত বছরের ২৫ জুলাই ইউজিসির সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভার পর এটি অনেক গতি লাভ করে এবং ইতোমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই দুই সেমিস্টারের ক্লাস শেষ করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে আউটগোয়িং ব্যাচের অর্থাৎ সর্বশেষ সেমিস্টার বা বর্ষের পরীক্ষা শুরু করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি নির্দেশনায় চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু অনলাইন ক্লাস যথারীতি চলমান ছিল।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভার মাধ্যমে কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনলাইনে, সশরীরে বা মিশ্র শিখন পদ্ধতিতে (কিছু অনলাইনে, কিছু সরাসরি) ক্লাস পরীক্ষা নেবে। সেই মোতাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই পরীক্ষা শুরু করেছে অথবা পরীক্ষা শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আউটগোয়িং ব্যাচগুলোর পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় সচেষ্ট থাকবে। ফলে তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ দ্রুততর হবে। করোনার এ মহাদুর্যোগের সময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের উচিত হবে সম্মিলিতভাবে শিক্ষার্থীদের সাহস জোগানো, যেন তারা হতাশায় নিমজ্জিত না হয়। দেশ করোনামুক্ত হলে এবং অনুকূল অবস্থা বিরাজ করলে তাদের শিক্ষকরা এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। আট-নয় বছর আগের কথা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করতে করতে অন্য বিভাগগুলো থেকে প্রায় দেড় বছর পিছিয়ে পড়েছিল। বিষয়টি সুরাহার পর মাত্র চার বছরের মধ্যে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বিভাগটি সেশনজটমুক্ত হয়েছিল।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে দেশব্যাপী একই প্রোগ্রামের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অভিন্ন পাঠ্যসূচি ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। তাই তারাও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কওমি শিক্ষা বোর্ডও মাদ্রাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে পারে। চিকিৎসা শিক্ষা বা হাতে কলমে সরাসরি পাঠদান করতে হয় এমন সব ক্ষেত্রেও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা চালু রাখা গেলে শিক্ষার্থীরা হতাশায় নিমজ্জিত না হয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। ইউজিসি প্রদত্ত সর্বশেষ গাইডলাইনের মধ্যে ব্যবহারিক ও সরাসরি হাতে কলমে কাজ করতে হয় এমন সব কোর্সের ক্ষেত্রে ক্লাসগুলোর ভিডিও এবং পুরোনো ডেটা শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সরবরাহের কথা বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিতে পারে।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু করোনার এ মহাদুর্যোগের সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে বা অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সর্বাধিক সংখ্যায় যুক্ত রাখা গেলে তারা হতাশায় নিমজ্জিত হবে না, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। একইসঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতিও কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান : পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্তোষ, টাঙ্গাইল ।

Pin It