করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে আসন্ন কোরবানির ঈদের পর বিধিনিষেধ আরও কঠোর হবে বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন।
শনিবার চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির এক অনুষ্ঠানে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকে নয় দিনের জন্য চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।
এই সময় শিল্প কলকারখানাও বন্ধ রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সকলকেই মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গ্রামাঞ্চলে মানুষদের মাস্ক পরার ব্যাপারে অনীহা আছে। সেদিকেও আমাদের নজর থাকবে। বিধিনিষেধ কঠোর করে করোনা মোকাবেলা করা হবে।”
ফরহাদ বলেন, “জাতীয় কারিগরি কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। তারা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা খুবই ভালো। আমরা এই সময়েও যদি বিধিনিষেধ রাখতে পারতাম তাহলে খুবই ভালো হতো। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক কিছু ভাবতে হয়।
“আমাদের ভাবতে হচ্ছে বড় ধর্মীয় উৎসব নিয়েও। কোরবানিকে ঘিরে চিন্তাভাবনা করতে হয়েছে।”
চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করলেও স্বাস্থ্যবিধির ওপর কোনো শিথিলতা নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে; মাস্ক পরতে হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সকলকেই করোনা মোকাবেলায় অংশ নিতে হবে। কন্ট্রোল যত বেশি করতে পারব তত আমাদের জন্য ভালো।
ঈদের পর শিল্প কলকারখানা বন্ধ রেখে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হবে। এটা হলে ভালো কন্ট্রোলে আসবে।”
চুয়াডাঙ্গার ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, বিজিবির যশোর রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মসিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।