অগ্নিকাণ্ডের পর রাজধানীর বনানীর এমিকন ভবনের সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স আপাতত স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
শনিবার বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকায় অগ্নি-দুর্ঘটনা কবলিত বাণিজ্যিক ভবনটি পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশেনর মেয়র এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিল্ডিং কোডসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দেওয়া সব শর্ত যথাযথভাবে অনুসরণ করার পর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।
“এই সময় পর্যন্ত তাদের ট্রেড লাইসেন্স স্থগিত থাকবে। শর্ত না মানলে তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।”
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সকাল পৌনে নয়টায় চেয়ারম্যান বাড়ির কাছে প্রধান সড়কের ওপর ছয়তলা বাণিজ্যিক ভবনের তিনতলায় আগুন লাগে।
পৌনে চার ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বিডিনিজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের ১৫টি ইউনিট আগুন নেভায়।
তিনি বলেন, “মূল সড়কের পাশে ভবনটি হলেও পানির উৎস কাছাকাছি না থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা হয়। তৃতীয় তলার তিনটি জানালা দিয়ে ভেতরে পানি দিতে হয়েছে।
“ভবনটির তৃতীয় তলায় এমিকন কোম্পানির গুদাম। ওই গুদামে সলিউশন, কাঠ, বিভিন্ন ধরনের ক্রেস্ট তৈরির সরঞ্জামসহ দাহ্য পদার্থ ছিল।
অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত অপারেটর জিয়াউর রহমান জানিয়েছিলেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আনন্দ টিভির কার্যালয়। তৃতীয় তলায় বিভিন্ন ধরনের ক্রেস্ট তৈরি করা হয়, সেখানেই আগুন লাগে।
বনানী থানার ওসি নূরে আযম বলেন, “আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।আগুন লাগার পর আশপাশের ভবনের কর্মরতরা নেমে যায় এবং আশপাশের পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।”
আগুন লাগার কারণে ভব্নটির সামনের সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয় জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের পরিদর্শক (ট্রাফিক) মো. সালাউদ্দিন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করে।
আগুন লাগার পরপরই উত্তরা থেকে ফার্মগেইটমুখী সড়কে যান চলাচল পুলিশ বন্ধ করে দেয়। ফলে বনানী, ফার্মগেইট, ময়মনসিংহ সড়ক, বিজয় সরণি, মহাখালী, তেজগাঁও, সাত রাস্তার মোড়, সোনারগাঁও, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মগবাজারসহ আশপাশের রাস্তায় হাজার হাজার গাড়ি রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে দেখা গেছে।