ইউএনওর বাসায় হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ| একই সঙ্গে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এ সময় তিনি নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজে যোগদান এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বাসায় বাসায় গিয়ে খোঁজাখুঁজি না করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
নগরীর কালিবাড়িরোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ গিয়ে খুঁজছে। এতে করে অনেক কর্মী বাসা বাড়িতে যাচ্ছেন না। তিনি কর্মীদের বাসা-বাড়িতে আসতে এবং কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান।
বিভিন্ন কর্মসূচি পালনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শোকের মাসে সকলকে ধৈর্য ধরতে হবে। দলের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করলে তাতে দলেরই ক্ষতি হবে। তিনি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত এবং ভিডিও প্রকাশ করে অপরাধ দেখে বিচারের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমি বার বার বলেছি ষড়যন্ত্রের কথা। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিন বছরের ষড়যন্ত্র চলাকালে একনেকে ১৩০ কোটি টাকা পাস হলেও টাকা পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ না পেয়েও সিটি করপোরেশন এলাকায় ৫ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কোনোভাবেই পেরে উঠতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্যে এসেছে।
গ্রেফতারের আশঙ্কা প্রশ্নে মেয়র বলেন, গ্রেফতারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি, বললেই থানায় গিয়ে হাজির হবো। আমার বাসা ঘেরাও করার দরকার নেই। আমি পরিচিত লোক, আমি দলের সাধারণ সম্পাদক, আমার চেহারা বাংলাদেশের সবাই চেনে, আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। এটা আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়ি, এ বাড়িতে আমাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে।’
ব্যানার অপসারণ প্রশ্নে তিনি বলেন, ব্যানার লাগানো দলের সিদ্ধান্ত ও অপসারণও দলের সিদ্ধান্ত। এটা দলের ব্যানার, ইউএনও সরকারি চাকরি করেন এটা বাঁধা দেওয়ার তিনি কেউ না।