বাংলাদেশে নির্বাচন আয়োজনে বিদেশি কারও সহযোগিতার কোনো প্রয়োজন দেখছেন না তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিএনপির আস্থাহীনতা এবং জাতিসংঘ দূতের এক বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেছেন, দেশের নির্বাচন কমিশন ‘শক্তিশালী ও স্বাধীন’।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচনে আপত্তি জানিয়ে আসা বিএনপি ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিও জানিয়ে আসছে।
অন্যদিকে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, বাংলাদেশ চাইলে তারা নির্বাচন সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের প্রথম প্রকাশনা সাময়িকী ‘বিএসআরএফ বার্তা’ উদ্বোধনকালে তথ্যমন্ত্রীর কাছে মিয়া সেপ্পোর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কারও সহযোগিতা দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ ইতোপূর্বে নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনেক নির্বাচন করেছে।”
‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপির আন্দোলনের হুঁশিয়ারির বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি নেতৃবৃন্দ গত সাড়ে ১২ বছর ধরে এই দাবি করে আসছেন এবং জনগণকে আহ্বান জানিয়ে আসছেন, কিন্তু জনগণ তো তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি এবং সাড়া দেওয়ার কোনো কারণও নাই।
“বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। বিএনপিকে বলবো, এ ধরনের ফাঁকা বুলি আউড়িয়ে লাভ হবে না।”
‘সরকার ভয়ে খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিচ্ছে না’- বিএনপি মহাসচিবের এ বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী যে কারাগারের বাইরে রয়েছেন, সেজন্য বিএনপির ‘শুকরিয়া আদায়’ করা প্রয়োজন, সরকারকে ‘ধন্যবাদ’ দেওয়া উচিৎ।
সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব তলব প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার যে কারও ব্যাংক হিসাব তলব করতে পারে। এমপি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদেরও ব্যাংক হিসাব তলব হয়।
“তবে কেউ স্বচ্ছ থাকলে এখানে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। কারণ এই ব্যাংক হিসাব থেকে যখন তাদের স্বচ্ছতা বেরিয়ে আসবে, তখন মানুষের সামনে তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।”
“তবে এটি কেন সংগঠনের নাম দিয়ে চাওয়া হল এবং কেন এটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হল, সেটিই প্রশ্ন,” বলেন তিনি।
সাংবাদিকরা এসময় বিটিআরসি থেকে আইপি টিভির ডোমেইন বন্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আইপি টিভি রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু তারা ডোমেইন বরাদ্দ পায় বিটিআরসি থেকে। ডোমেইন বরাদ্দ দেওয়ার আগে এখন থেকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।”
এনিয়ে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসির সঙ্গে মিলে ত্রিপক্ষীয় একটি বৈঠক করা হবে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।