জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ আর যাতে না হয়, তার গ্যারান্টি অর্জন করা দরকার। কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখা এটা সাজানো ও পরিকল্পিত ঘটনা মনে হয়েছে। সুতরাং এটাকে হালকা করে দেখার কিছু নেই। যেহেতু পরিকল্পিত ঘটনা এবং উছিলা তৈরি করে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা, সেহেতু দোষীদের চিহ্নিত করা দরকার এবং জড়িতদের দ্রুত বিচার আইনে সাজা দেওয়া দরকার।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) কুমিল্লায় নগরীর টাউন হল মাঠের মুক্তমঞ্চে গণঅনশন ও বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনু আরও বলেন, আরেকটি বিষয় আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে সেটা হচ্ছে যে, ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন হল। অথচ ৫০টি জায়গায় আক্রমণের শিকার হল কেন? প্রশাসন আটকাতে পারলো না কেন? এই ‘কেন’ এর উত্তরটা তদন্ত করে দেখা উচিত। এটা কি প্রশাসনের গাফিলতি, ব্যর্থতা, অদক্ষতা নাকি প্রশাসনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সাম্প্রদায়িক কর্মচারির উদ্দেশ্যমূলক নিষ্ক্রিয়তা। এটা যদি সাম্প্রদায়িক কর্মচারীর উদ্দেশ্যমূলক নিষ্ক্রিয়তা হয়। তাহলে শেখ হাসিনা সরকারের জন্য এটা একটা বড় হুমকি। শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক সরকারকে যদি এগিয়ে যেতে হয়, তাহলে অসাম্প্রদায়িক প্রশাসন দরকার। এ ব্যাপারে সরকার সতর্ক হবেন এবং সরকার তদন্ত করে এই ‘কেন’ এর উত্তরটা খুঁজে বের করবেন। তা না হলে এই হামলার পুনরাবৃত্তি হবে। বার বার ব্যর্থ হবো, বার বার সংখ্যালঘুরা হামলার শিকার হবে।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য প্রবীণ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু এবং দলের স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।