বাংলাদেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শাসন ব্যবস্থার সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’ চলছে। সবার লক্ষ্য একটি, সেটি হচ্ছে কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়। মানুষের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে বা ‘ওয়েল ফেয়ার স্টেটের’ দিকে কারও চিন্তা নেই।
পরিস্থিতি বোঝাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি নথি খোয়া যাওয়ার বিষয়ে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করার খবর তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “আমরা করোনার সময়ে দেখেছি কীভাবে ভয়াবহভাবে যখন মানুষ মারা যাচ্ছে, মানুষের আহজারি, সেই সময়ে দেখেছি তখন তারা (সরকার) কি করে অর্থ উপার্জন করবেন তা নিয়ে ব্যস্ত, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির ড্রাইভারের ৪০০ কোটি টাকা- এই একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে এখন।”
বিদায়ের আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক ভাইস চ্যান্সলরের ১৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রসঙ্গ ফখরুল বলেন, “পেছনের কাহিনী কী যে সেই অর্থ উপার্জন করা। এই যে আমরা একটা সমাজ তৈরি করেছি, এই সমাজের কাছ থেকে ভালো কিছু পাওয়ার আশা করার খুব কঠিন।”
সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী সংবর্ধনা গ্রন্থ’র প্রকাশনার এই অনুষ্ঠান হয়।
৫৯০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশক। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। গ্রন্থটির মূল্য এক হাজার ৩০০ টাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ বলেন, শিক্ষাদানের পাশাপাশি সমাজ বদলের একটা দায়িত্ব কিন্তু শিক্ষকদের থেকে যায়। সমাজ পরিবর্তনে শুধু রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব্ নয়, এই দায়িত্ব শিক্ষক সমাজ, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবি, আমাদের জনগণ সকলেরই।
“১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে, একটি শোষণহীন বঞ্চনামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা ৫০ বছর পর তাকিয়ে দেখি আমাদের সেই স্বপ্ন বিফল হয়েছে।”?
বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসার সভাপতিত্বে ও কবি আবুল হাই শিকদারের সঞ্চালনায় প্রকাশনা অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহছানুল হক মিলন, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিনী লাকী নাসরিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য্ অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক জাহেদুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুর রহমান সিদ্দিকী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক রেজাউল করীম, অনন্যার প্রকাশক মনিরুল হকের ছেলে বাবুস সালাম দূর্জয় বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, সা্বেক ছাত্র নেতা নজমুল হক নান্নু, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক খলিলুর রহমান, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অধ্যাপক আবদুর রহমান, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক লুতফুর রহমান, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ইয়ারুল কবির, অধ্যাপক শের মুহাম্মদ, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসুদ, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সালেহ মাহমুদ রিয়াদ, সাংবাদিক এম আবদুল্লাহ।