অনেকেই হাঁটাচলাকে শরীরচর্চার অংশ বলে মনে করেন না। ক্যালরি কম খরচ হয় বলেই অনেকে এতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
হার্ভার্ড হেল্থ অনুযায়ী, ১৫৫ পাউন্ড বা ৭০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তি ঘণ্টায় চার মাইল বা ৬ কি.মি. গতিতে হাঁটলে ৩০ মিনিটে ১৭৪ ক্যালরি খরচ করতে সক্ষম।
শরীরচর্চা ছাড়াও ক্যলরি পোড়ানোর উপায়
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হাঁটার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক উপায়ে দ্বিগুণ ক্যালরি খরচ করা সম্ভব।
“হাঁটার সময় বিরতি দেওয়ার চেষ্টা করুন। প্রথম এক মিনিট সাধারণ গতিতে এবং পরবর্তী ৩০ সেকেন্ড দ্রুত গতিতে হাঁটুন। হাঁটার পুরো সময়টা এভাবে সম্পন্ন করুন।” এমনটা পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ স্পোর্টস মেডিসিন’য়ের সনদ স্বিকৃত প্রশিক্ষক ও পিএন১-প্রত্যয়িত পুষ্টিবিদ এবং ‘ট্রেইন লাইক অ্যা জিম্নাস্ট’য়ের প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল গ্রে।
‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে গ্রে ব্যাখ্যা করে বলেন, “অন্তরকালীন প্রশিক্ষণ শরীরকে আরামদায়ক অবস্থার বাইরে নিয়ে আসে এবং ক্যালরি খরচের পরিমাণ বাড়ায়। শরীরচর্চার পরেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে যা ‘পোস্ট এক্সেরসাইজ অক্সিজেন কম্পোজিশন’ নামে পরিচিত।”
গ্রে’র দাবিকে সমর্থন করে ২০১৩ সালে ফিজিওলজিক্যাল রিপোর্টে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয় ‘হাই-ইন্টেন্সিটাই এক্সারসাইজ’ করার মাধ্যমে ক্যালরি পোড়ানোর হার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো যায়।
অ্যামেরিকান ফিজিওলজিক্যাল সোসাইটির গবেষকরা দেখেছেন যে, শরীরচর্চাকারীরা ‘হাই-ইন্টেন্সিটি এক্সারসাইজ’ করার সময় আড়াই মিনিটে ২০০ ক্যালরি খরচ হয়। তবে এর শর্ত হল দীর্ঘ সময় ধীর গতিতে শরীরচর্চা করতে হবে।
“হাঁটার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজন ধরে রেখে প্রতি ধাপে হাত দোলানোর মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করা সম্ভব। পাশাপাশি ওজন নিয়ে হাঁটার সময় হাত মাথার ওপর তোলা ও ডাম্বেল ব্যবহারের মতো কনুই ভাঁজ করা আরও বেশি শক্তি বাড়াতে এবং দেহের মধ্যভাগ সমান রাখতে সহায়তা করে,” বলেন গ্রে।
ওজন নিয়ে হাঁটা বাড়তি ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। কারণ এর জন্য প্রয়োজন হয় বাড়তি ক্যালরি।