অনেকটা দ্বিতীয় দিনের মতোই শুরু হয়েছিল। তবে এবার ইয়াসির আলি চৌধুরি ও লিটন দাসের দৃঢ়তায় প্রথম সেশন কাটিয়ে দিয়ে দুইশ রানের লিডের দিকে ছুটছে বাংলাদেশ।
একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের লিড এগিয়ে নিচ্ছেন লিটন। কিন্তু কেউই থিতু হতে পারছেন না লিটনের সঙ্গী হতে।
মাথায় বলের আঘাত লেগে ইয়াসির রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে গেলেন মিরাজ।
এরপর ইয়াসিরের কনকাশন সাব হয়ে নামা সোহানের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন।
মিরাজ আউটের পর কনকাশন সাব হয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান।
সোহানকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু অবিবেচকের মতো শট খেলে আউট হয়ে গেলেন সোহান। টেস্ট ম্যাচে হাঁকাতে গেলেন ছক্কা। লং অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
কোনো দরকার ছিল না এমন কোনো শটের। সোহানের দরকার ছিল স্রেফ সতীর্থকে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া। সেটি না করে ছক্কার চেষ্টায় ফিরলেন তিনি।
সাজিদ খানের সাদামাটা এক ডেলিভারিতে লং অনে ধরা পড়েন সোহান। ইয়াসির আলি চৌধুরির কনকাশন সাব হিসেবে নামা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৩ বলে তিন চারে করেন ১৫ রান।
তার বিদায়ে ভাঙল ৬১ বল স্থায়ী ৩৮ রানের সম্ভাবনাময় জুটি।
ক্রিজে লিটনের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
প্রথম ইনিংসের মতোই দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন লিটন। ইতোমধ্যে অর্ধশতক পূরণ করেছেন।
এবার একাই হাল ধরতে হয়েছে তাকে। ৮৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫৯ রানে ব্যাট করছেন লিটন।
আজ দিনের শুরুতেই মুশফিক বোল্ড হয়ে যান হাসান আলির ইনসুইংয়ে। ৩৩ বলে ১৬ রান করেন মুশফিক। এরপর ৭২ বলে ৩৬ রানে থাকা অবস্থায় কনকাশনে মাঠ ছাড়েন ইয়াসির।
মিরাজ নামলেও বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লিটনকে। মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ একশ পার করেন লিটন।
ভালো একটা জুটি গড়ার আভাস দিয়েছিলেন এই মিরাজ। কিন্তু প্রথম ইনিংসে দারুণ দৃঢ়তা দেখানো এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার এবার টিকলেন না বেশিক্ষণ। ফিরে গেলেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
৪৩তম ওভারে সাজিদের ৩য় ডেলিভারিটি তীক্ষ্ণ বাঁক নিয়ে ভেতরে ঢোকে। পিছিয়ে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেন মিরাজ। ব্যাটে লাগাতে পারেননি বল। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন মিরাজ। রিভিউও হারায় বাংলাদেশ।
৪৪ বলে ১ চারে ১১ রান করেন মিরাজ। ৬৯ বলে ২৫ রানের জুটি ভাঙে।