করদাতাদের সুবিধার্থে ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা আরও এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া আয়কর বিবরণী বা ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার ছিল রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন। এদিন রাত আটটা পর্যন্ত কর অঞ্চলগুলোতে রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল।
এ সময় শেষ হওয়ার কিছু আগে এক মাস সময় বাড়ানোর ঘোষণা আসে দেশের রাজস্ব আহরণকারী প্রধান এ সংস্থা থেকে।
এনবিআরের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) সৈয়দ এ মু‘মেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “করদাতাদের সুবিধার্থে জরিমানা ছাড়া আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।“
এবার কর মেলা না হওয়ায় নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী রিটার্ন জমার দেওয়ার শেষ দিন মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার কর অঞ্চলের কার্যালয়গুলোতে আয়কর বিবরণী জমা দিতে গিয়েছেন অনেক ব্যক্তিশ্রেণির আয়করদাতা।
জাতীয় আয়কর দিবসে ঢাকার পুরানা পল্টনের একটি কর কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে আয়কর বিবরণি জমা দিচ্ছেন করদাতারা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভিজাতীয় আয়কর দিবসে ঢাকার পুরানা পল্টনের একটি কর কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে আয়কর বিবরণি জমা দিচ্ছেন করদাতারা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভিতবে এদিন তেমন ভিড় ছিল না। শেষ সময়ে কিছুটা উৎকণ্ঠা নিয়ে যারা গিয়েছেন তারা অনেকটা নির্বিঘ্নেই রিটার্ন জমা দিতে পেরেছেন। সময় বাড়ানো হবে না এমন আলোচনার মধ্যে আগের কয়েক দিনে এর চেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবারও আয়কর মেলার পরিবর্তে কর অঞ্চলগুলোতে মাসব্যাপী সেবা দেওয়া হয়। গত ১ নভেম্বর থেকে কর দাতারা কর কার্যালয়গুলোতে স্থাপিত হেল্প ডেস্ক থেকে সেবা পেয়েছেন, যা ৩০ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল।
মঙ্গলবার শেষ মুহূর্তে এনবিআর সময় বাড়ানোতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অঞ্চলগুলোর হেল্প ডেস্কে সেবা মিলবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
প্রতিবছর ৩০ নভেম্বর বিনা জরিমানায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন থাকে। করবর্ষ শেষ হওয়ার পর চাইলে যে কেউ এ সময়ের আগে যে কোনো সময় আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
তবে কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দিতে না পারলে আয়কর অধ্যাদেশের নিয়ম অনুযায়ী, যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে তিনি দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নিতে পারেন। সেজন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়।
তখন একজন কর কর্মকর্তা আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী জরিমানা, করের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরল সুদ কিংবা করের টাকার উপর মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ আরোপ করতে পারেন।