তথ্য নিরাপদ রাখতে সরকারি সব বিভাগ ও সংস্থার জন্য একটি সমন্বিত ‘ক্লাউড-কম্পিউটিং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম’ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে ব্যয় হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা।
সরকারের ডিজিটাল সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশে ডিজিটাল অর্থনীতির পরিবেশ তৈরি করতে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বছরে প্রায় ২০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় সাশ্রয় হবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
আইসিটি বিভাগের লক্ষ্য ‘এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি’ শীর্ষক এ প্রকল্পের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলার কৌশল নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
প্রকল্পটির মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি বড় আকারে যুবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো. মামুন-আল-রশিদ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ, ২ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা যোগান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটির জন্য বাকি ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দেওয়া হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে।
অনুমোদন পেলে আগামী জানুয়ারি থেকে প্রকল্পটির কাজ শুরু করতে চায় বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। তাদের লক্ষ্য ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করা।
নিরাপদে ডেটা সংরক্ষণে নিজস্ব ক্লাউড কম্পিউটিং ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় নারীকে অগ্রাধিকার দিয়ে এক লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে ডেটা সংরক্ষণের একটি সুরক্ষিত অনলাইন সার্ভার ব্যবস্থা। এ প্রকল্পের আওতায় অনলাইন সার্ভারের একটি প্লাটফর্ম গড়ে তোলা হবে।
এসব সার্ভারে অনুমোদিত ব্যবহারকারীরা তাদের যে কোনও দলিল জমা রাখতে পারবেন বলে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিসিসির এক কর্মকর্তা জানান।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মূলত দেশের সরকারি বেসরকারি সব পর্যায়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
“এর মাধ্যমে সরকারের সব বিভাগ ও সংস্থার জন্য একটি সমন্বিত ক্লাউড-কম্পিউটিং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম স্থাপন করা হবে।”
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় সরকারের সক্ষমতা বাড়াতে একটি ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি স্থাপন করা হবে।
এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) শিল্পের ডিজিটাইজেশন এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের ডিজিটাইজেশনের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে প্রকল্প প্রস্তাবের উল্লেখ করা হয়েছে।