‘তাহসান মিথিলা ও শবনম যে কোনো সময় গ্রেফতার’

image-496627-1639129582

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে হওয়া মামলায় অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ আসামিকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হতে পারে।

শুক্রবার ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ইভ্যালির প্রতারণার অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তারা নজরদারিতে আছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে যে কোনো সময় আসামিদের গ্রেফতার করা হতে পারে।

ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারও গ্রাহককে পথে বসিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি— এমন অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।’

সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলা করেন। মামলার তদন্তের নথি সম্প্রতি রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় এসেছে। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন— অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া। এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েসকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন তাহসান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। শবনম ফারিয়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন।  তারা ইভ্যালির প্রতারণায় সহযোগিতা করেছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।
সাদ স্যাম রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও এতে সহায়তা করেছেন তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ তিন লাখ ১৮ হাজার, যা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি।

ওসি ইকরাম আলী বলেন, এ মামলায় ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Pin It