চাকরির প্রলোভনে ৫৭ লাখ টাকা ঘুস গ্রহণের অভিযোগে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের উপপরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন। সোমবার দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন-সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মো. গোলাম ফারুক ও উচ্চমান সহকারী মাহমুদুল হাসান সেলিম। মামলার এজাহারে বলা হয়, চাকরি প্রার্থী সৈয়দ মেহেদী হাসান সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ দুদকের শিডিউলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় তা থানা থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে দুদকে পাঠানো হয়।
এজাহারে বলা হয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমাজকর্মী ইউনিয়ন (স্থায়ী রাজস্ব) পদে ৪৬৩ টি পদসহ অন্যান্য পদে নিয়োগের জন্য চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন সংগ্রহের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্থগিতকৃত সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) পদে নিয়োগ পরীক্ষা ২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিজ্ঞপ্তির পর থেকে আসামিরা চাকরি প্রার্থী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে মিথ্যা প্রলোভনে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে থাকেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি জানাজানি হলে পরীক্ষাটি গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
২০২১ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের সন্ধানে অভিযান চালিয়ে শেরে বাংলানগর থানাধীন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে পাকা রাস্তা থেকে গোলাম ফারুক ও মাহমুদুল হাসান সেলিমকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৭ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়া নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীদের ক্রমিক নং, রোল, জেলার নাম ও পরীক্ষার কেন্দ্রের নাম সংবলিত ৫৯ পাতার তালিকা ও দুটি আইফোনও জব্দ করা হয়।