সকালবেলায় যার যার কাজের জন্য বের হওয়ার প্রক্রিয়াটা সব ঘরেই তাড়াহুড়োর মধ্য দিয়ে যায়।
বিশেষ করে ঝড় যায় ঘরের নারীদের ওপর। নাস্তা বানানো, খাবার পরিবেশন, সন্তানদের স্কুলের জন্য তৈরি করা, দুপুরের খাবার বাটি করে দেওয়া ইত্যাদি নানান ঝামেলা।
এরমধ্যে ঘরের নারীও যদি কর্মজীবী হন তবে আরও বেশি তাড়াহুড়া।
সকালের সেই ঝড় সামাল দেওয়ার জন্য কিছু কৌশল জানিয়েছেন ‘রিয়েল সিম্পল’ ওয়েবসাইটের সাংবাদিক, উপস্থাপিকা এবং প্রযোজক ব্রান্ডি মিলয়।
ঘুম থেকে উঠতে হবে জলদি
যিনি সবকিছু সামাল দেবেন তাকে বাড়ির সবাই ঘুম থেকে ওঠার কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে বিছানা ছাড়তে হবে।
ব্রান্ডি বলেন, “আমাকে সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে হয়। অ্যালার্ম’য়ের শব্দে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে প্রথম কাজ হল এক গ্লাস পানি পান করা। এসময় ফোন থেকে একদম দূরে থাকি। আর জলদি ঘুম থেকে উঠলে নিজের সঙ্গে কিংবা প্রিয় মানুষটার সঙ্গে নিরিবিলি কিছু সময়ও কাটানো যায়।”
শারীরিক পরিশ্রম
সবার আগে ঘুম থেকে ওঠার সুবাদে হাতে কিছুক্ষণ বাড়তি সময় থাকবে। সেই সময়ে শারীরিক পরিশ্রমের দিকে নজর দিতে হবে। হালকা একটু ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটির পেছনে যতটুকু সম্ভব সময় দিন। এরপর নিজের জন্য এক কাপ চা কিংবা কফি বানিয়ে খেয়ে পারেন। এতে আসন্ন ঝড়ের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।
সবার অংশগ্রহণ
একা হাতে সবকিছু করে ফেললেই ঝামেলা কম হবে এমনটা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। আসলে তা নয়। আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও ঘরের কাজে অংশগ্রহণ করার অনুপ্রেরণা দেওয়া ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সন্তানদের নিজের ব্যাগ গোছানোর কাজটা দিতে পারেন। আবার তাদেরকে নিজের খাবার গোছানোর দায়িত্বটাও দিতে পারেন। নিজেদের খাবার নিজেরা গোছালে শিশুরা খাবারের প্রতি আগ্রহী হবে বেশি।
সহজে দুপুরের খাবার গোছানোর উপায়
দুপুরের খাবার একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখলে পুরো কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। যে খাবারগুলো সহজে নষ্ট হয়না, শুকনা সেগুলো একটি স্থানে রাখলে তাড়াহুড়োর সময় চট করে নিয়েই বের হয়ে যাওয়া যাবে। আর সব খাবার এক জায়গায় থাকলে কোন খাবারটা খাওয়া হবে তা বেছে নেওয়াও সহজ হবে।
প্রয়োজনীয় জিনিস এক জায়গায় রাখা
যে জিনিস যেখানে প্রয়োজন সেটা সেখানেই রাখা উচিত। যেমন- জুতা আর মোজা একই স্থানে থাকলে জুতা পরার আগে মোজা খোজার ঝামেলায় পড়তে হবে না। বাইরে যাওয়ার আগে যা কিছু সঙ্গে নিতে হবে তা এক জায়গায় গুছিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনে রাতেই গুছিয়ে রাখুন।
রুটিন থাকতে হবে
সকালটা ঝামেলা মুক্ত করতে হলে যে পদ্ধতিই অনুসরণ করুন না কেনো তার একটা রুটিন ঠিক করে নিতে হবে অবশ্যই। অন্যথায় আজ হোক কাল হোক খেই হারিয়ে যাবেই যাবে।