উখিয়া ছেড়েছে আরও ২৯৭৫ রোহিঙ্গা

 

1646849281.1646740555398

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ১২তম ধাপে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে আরও ২ হাজার ৯৭৫ জন রোহিঙ্গা।

বুধবার (০৯ মার্চ) দুপুরে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে দুই দফায় ৫৮টি বাসে তাদের চট্টগ্রাম নৌ বাহিনীর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, আজ বুধবার ১২ দফায় দুই ভাগে ২ হাজার ৯৭৫জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে উদ্দেশে উখিয়া থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা সবাই চট্টগ্রাম পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, মূলত যেসব রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী শুধুমাত্র তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এর আগে ১১তম ধাপে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ২০ হাজার ৯৪২ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ২৬টি বাসে প্রথম দফায় ১ হাজার ৪৩৭ রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বাসের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজনের গাড়ি আছে। পরে বিকেলে আরও ১৫০৮ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয় সূত্র জানায়, কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরের চাপ কমাতে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের। সরকারি তথ্যানুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই জায়গায় ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

Pin It