যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপে বাংলাদেশ

image-538657-1649268444

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র উন্মোচনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপে বসেছে বাংলাদেশ।

বুধবার ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই বৈঠক শুরুর কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের আর্মস কন্ট্রোল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি বনি ডেনিস জেনকিন্স।

দুদেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের দুদিন পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে অষ্টমবারের এই ডায়ালগ। এর আগে মহাপরিচালক পর্যায়ের হলেও এবার বৈঠক হচ্ছে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি জিসোমিয়া ও আকসা, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল, র‌্যাব ও সাবেক বর্তমান কর্মকর্তাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয় আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

‘সিকিউরিটি ডায়ালগ’ সামনে রেখে বাংলাদেশের কাছে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট বা জিসোমিয়ার একটি খসড়া হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

দুপক্ষের মধ্যে আদান-প্রদান করা সামরিক তথ্যের সুরক্ষা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখতে করা হয়েছে জিসোমিয়া।

সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে অ্যাকুইজিশন ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট বা আকসা-ও সই করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

গত ২০ মার্চ পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের পার্টনারশিপ ডায়ালগে জিসোমিয়ার খসড়া হস্তান্তর করা হয়।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ফরেইন মিলিটারি ফিন্যান্সিংয়ের (এফএমএফ) আওতায় ২০১৫ সাল থেকে ৬ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার এবং ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেইনিংয়ের (আইএমইটি) আওতায় ৭২ লাখ ৯০ হাজার ডলার আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওই সময়ে ফরেইন মিলিটারি সেলসের (এফএমএস) আওতায় দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৩ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার ডলারের বিকিকিনির সম্পর্ক থাকার কথা বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১২ সালে ‍যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৮ কোটি ডলারে চারটি সি-১৩০ই উড়োজাহাজ কিনেছে বাংলাদেশ।

এছাড়া, বাংলাদেশ এক্সেস ডিফেন্স আর্টিকেলস (ইডিএ) কর্মসূচির আওতায় নিরাপত্তা সহযোগিতা হিসাবে ২০টি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা ও সিলেটে দুদেশের বিমানবাহিনীর মধ্যে ছয় দিনের যৌথ কৌশলগত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাতে ‍উড়োজাহাজে সামরিক পরিবহনের কৌশল নিয়ে কাজ করেন দুদেশের বিমানসেনারা।

Pin It