এশিয়ান ড্রাগণ বলে খ্যাত দক্ষিণ কোরিয়াতে আবারও বাংলাদেশের ইপিএস কর্মী নেওয়া শুরু করেছে।
কোরিয়ান এয়ারের নয় নাম্বার চাটার্ড ফ্লাইট আজ বুধবার ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত আনুমানিক ১০টা ৫৫ মিনিটে ১৩৭ জন রেগুলার ও কমিটেড কর্মী নিয়ে বাংলাদেশি ইপিএস কর্মীদের অষ্টম ফ্লাইট ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে এবং আগামীকাল কোরিয়া সময় ভোর ৬ টায় আন্তর্জাতিক ইনছন বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছাবে।
এ ব্যাপারে আজকের ফ্লাইটের নতুন ইপিএস কর্মী মোঃ পারভেজ হাওলাদার বলেন, সকল বিপদ-আপদ মুক্ত হয়ে সহি-সালামতে আমরা যাতে দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারি সেজন্য সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশী কর্মী নেওয়া স্থগিত করেছিল দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এরপর প্রায় ২১ মাস পর গত ডিসেম্বর থেকে আবারো বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু হয়। গত ৫ জানুয়ারি মোট ৯২ জন রেগুলার ও কমিটেড কর্মী কোরিয়া গেছেন।এরই মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫৩ জন বাংলাদেশী ইপিএস কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন। গত মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ায় যান প্রায় ১৫০ জন বাংলাদেশী কর্মী।
নতুন বছরে যে ৯২ জন কর্মী দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন, তাদের মধ্যে ৪৪ জন কর্মী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এবং বাকিরা পুরনো কর্মী।
বাংলাদেশসহ ১৬ টি দেশ থেকে ইপিএস (এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম) প্রোগ্রামের মাধ্যমে মাঝারি ও নিম্ন-দক্ষ বিদেশী কর্মী নিয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।
কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ইপিএস কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে দেয়।ওই ১৬ টি দেশের ব্যাপক আহ্বান ও অনুরোধে সাড়া দিয়ে আবারো সীমিত পরিসরে কর্মী নেওয়া শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুণ বলেছেন, বাংলাদেশি কর্মীরা
কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নয় কোরিয়ান শিল্পেও শ্রমশক্তি সরবরাহে অবদান রেখেছে বাংলাদেশি কর্মীরা।
তিনি বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ইপিএস কর্মী নেবে বলেও আশার কথা জানান।
উল্লেখ্য যে,ইপিএস পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত সর্বমোট ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধা দক্ষিণ কোরিয়াতে পাড়ি জমিয়েছেন।