দুবাইয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন রুশ ধনীরা

image-547758-1651778204

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার জেরে আরোপিত হওয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব থেকে বাঁচতে দুবাইয়ে পাড়ি জমাচ্ছে রুশ ধনীরা। ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে দুবাইয়ে রুশদের সম্পত্তি কেনার হার ৬৭ শতাংশ বেড়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাশিয়ার ধনকুবের ও উদ্যোক্তাদের নজিরবিহীন ঢল নেমেছে বলে দেশটির ব্যবসায়ী নেতারা বিবিসিকে জানিয়েছেন।

দুবাইভিত্তিক রিয়েল এস্টেট এজেন্সি বেটারহোমসের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে দুবাইয়ে রুশদের সম্পদ কেনা দুই-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।

আরেক রিয়েল এস্টেট সংস্থা মডার্ন লিভিং বিবিসিকে জানায়, বাড়তি চাহিদা মেটাতে তারা অনেক রুশভাষী এজেন্ট নিয়োগ করছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী থিয়াগো বলেন, অবিলম্বে দুবাইয়ে স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক রুশদের কাছ থেকে তারা প্রচুর কল পাচ্ছেন।

যে রুশরা আসছে তারা কেবল বিনিয়োগের জন্য সম্পত্তি কেনা নয়, দুবাইকে দ্বিতীয় বাড়ি বানানোরও পরিকল্পনা করছে বলে জানান তিনি।

রাশিয়ার এক অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর প্রথম ১০ দিনেই অন্তত দুই লাখ রুশ নাগরিক দেশ ছেড়েছে। দুবাইয়ে ব্যবসায় সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ভার্চুজোনও সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর রুশ গ্রাহক পেয়েছে।

ইউক্রেন হামলা ঘিরে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে পশ্চিমারা। শিল্প-বাণিজ্য, প্রযুক্তি থেকে শুরু করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সব ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা। মার্কিন শত্রু এই দেশটিকে একেবারে একঘরে করে ফেলার চেষ্টা করছে পশ্চিমারা। তবে রুশবিরোধী এসব পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে অস্বীকার করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সে কারণেই বহির্বিশ্বে থাকা ধন-সম্পদ আরব আমিরাতে সরানোর দিকনির্দেশনা দিয়েছে মস্কো।

উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাই। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একটি প্রধান গন্তব্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পশ্চিমাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি এবং দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এ ব্যাপারে আলাদাভাবে কোনো নির্দেশিকা জারি করেনি।

এতদিন ধরে যেসব ধনী রুশ নাগরিক তাদের অর্থবিত্ত সুরক্ষিত রাখতে সুইজারল্যান্ড কিংবা লন্ডনকে বেছে নিয়েছিলেন, তারা এখন দুবাইয়ের দিকে ঝুঁকছেন। সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য এই দুটি দেশই ইতোমধ্যে রুশ নাগরিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

Pin It