সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে ঈদে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের উপর প্রশাসন নিযুক্ত কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক হামলা চালিয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটে।
এ হামলায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে।
ইউএনও তাহমিলুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের উপর হামলা চালায়।”
এই ঘটনা ‘খুবই দুঃখজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই তিন জন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”
গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা হামলাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করেছি। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে তারা বেশি পিটিয়েছেন। এছাড়া আরও ৬/৭ জন জড়িত ছিলেন, তাদেরও আটকে অভিযান চলছে।”
আটকদের মধে্যে দুজন হলেন গোয়াইনঘাট উপজেলার পন্নগ্রামের প্রয়াত রাখাল চন্দ্র দাসের ছেলে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১) ও ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সেলিম আহমেদ (২০)। বাকি তিনজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
টুরিস্ট পুলিশের জাফলংয়ের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, “ঘটনা জানার পরপরই আমাদের একটা টিম ঘটনাস্থলে গেছে।”
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা তিনজন যুবক হাতে লাঠি নিয়ে একদল পর্যটকদের পেটাচ্ছে। এ সময় ওই দলে থাকা কিছু নারী পর্যটক তাদেরকে থামাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হতেও দেখা গেছে।