রক্ত সঞ্চালনে সহায়ক খাবার

foods-blood-circulation-090522

ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি কারণে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে।

রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক না থাকলে শরীর সুস্থ থাকে না। কারণ কোষে অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দেয় রক্ত। আবার কার্বন ডাই অক্সাইড ও দূষিত পদার্থ কোষ থেকে বের করে নিয়ে যায়। তাই সঠিক রক্তসঞ্চালন শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়।

নানান ভাবে রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করা যায় যেমন- স্ট্রেচিং, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ, শরীরচর্চা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি।

বিট

“শক্তিবর্ধক ও সুস্থ থাকতে বিভিন্ন পানীতে বিট ব্যবহৃত হয়,” জানান নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ সিডনি গ্রিন।

ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “বিটে থাকে শক্তিবর্ধক উপাদান নাইট্রেইটস। যা প্রাকৃতিকভাবে মাটি, বাতাস ও পানিতে পাওয়া যায়। এই উপাদান খাবারে ব্যাক্টেরিয়া নাশ ও খাবারের স্বাদ এবং রং বৃদ্ধি করতে ব্যবহৃত হয়।

নাইট্রেইটস দেহে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ধমনী প্রসারিত করতে সহায়তা করে।

সবজির সঙ্গে ভেষজ ও মসলা

‘দ্যা স্পোর্টস নিউট্রিশন প্লেবুক’য়ের লেখক যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ এমি গুডসন বলেন, “যারা রক্ত সঞ্চালনের জন্য সঠি খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য ‘ডায়েটারি অ্যাপ্রোচস টু স্টপ হাইপারটেনশন ডায়েট’ সংক্ষেপে ‘ড্যাশ ডায়েট’ অনুসরণ করা উচিত। এটা রক্তচাপ কমায় ও রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়।

গুডসন এই প্রতিবেদনে আরও বলেন, “ড্যাশ ডায়েট দৈনিক চার থেকে পাঁচ পরিবেশন সবজি খাওয়ার পরামর্শ দেয়। সবজি উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং এতে কোনো সোডিয়াম বা লবণ নেই। সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ এবং অস্বাস্থ্যকর রক্ত সঞ্চালনে ভূমিকা রাখে।”

সবজির স্বাদ বাড়াতে এতে পছন্দসই মসলা বা ভেষজ উপাদান যোগ করা যেতে পারে।

আখরোট

গ্রিন বলেন, “আখরোট ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস সমৃদ্ধ যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ও রক্ত প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করে।”

তিনি আরও বলেন, “আখরোট ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ধমনী বিশ্রাম নিতে, রক্ত জমাট বাঁধার এনজাইম নিয়ন্ত্রণে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্তের প্লাটিলেটের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে।”

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল

গুডসন বলেন, “ড্যাশ ডায়েটে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার করা বলা হয়।”

কলা, খেজুর, বেরি, অ্যাভাকাডো পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল।

ড্যাশ অনুযায়ী দিনে চার পাঁচ পরিবেশন খাওয়া উচিত। যেখানে মাঝারি মাপের একটা ফল বা আধা কাপ টুকরা করা ফল, এক কাপ বেরি অথবা এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ শুকনা ফল থাকবে।

কম চর্বিবহুল দুগ্ধজাত খাবার

গুডসন ড্যাশ ডায়েটকে সমর্থন করে বলেন, “ক্যালসিয়াম রক্তচাপ কমায় এবং রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে।”

তার কথায়, “দিনে তিন পরিবেশন কম চর্বি বহুল দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। যেখানে এক পরিবেশনে এক কাপ কম চর্বি বহুল দুধ বা দই এবং দেড় আউন্স পরিমাণ কম চর্বির পনিরের সমান হবে।”

Pin It