চীন যতটা কার্যকরভাবে মিয়ানমারকে প্রভাবিত করতে পারে, আর কোনও দেশের পক্ষে তা সম্ভব না, বলেছেন যু্ক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি চার আন্দোলনকর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর চীনকে এর নিন্দা জানানো এবং জান্তা সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যু্ক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘‘চীন যতটা কার্যকরভাবে মিয়ানমারকে প্রভাবিত করতে পারে, আর কোনও দেশের পক্ষে তা সম্ভব না।’’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস আরও বলেন, মিয়ানমার জান্তার সঙ্গে ‘স্বাভাবিকভাবে কোনও কাজ’ হতে পারে না।
তিনি সব দেশকে মিয়ানমারের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি নিষিদ্ধ করার আহ্বানও জানান।
এদিকে মিয়ানমারের বিষয়ে চীন বলেছে, তারা অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না।
গত সোমবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম চার গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা জানায়। সামরিক আদালতে বিচারে তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ চালাতে সহায়তা করার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
সারা বিশ্ব থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানানো হচ্ছে।
চার রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তাকে তীব্র ভাষায় তিরস্কার করেছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর জোট আসিয়ান।
তারা বলেছে, এ মৃত্যুদণ্ড ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’; যা মিয়ানমারের সংকট নিরসনে আঞ্চলিক প্রচেষ্টার জন্যও ‘ধ্বংসাত্মক’ হবে।
মিয়ানমার ১০ সদস্যবিশিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এর সদস্য।
জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান সরকারের পক্ষ থেকেও নিন্দা জানানো হয়েছে। যদিও মিয়ানমারের জান্তা সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকে ‘ন্যায়বিচার’ বলে বর্ণনা করেছে।
মঙ্গলবার জান্তার মুখপাত্র জ মিন তুন বলেছেন, ‘‘জনগণের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।’’
আইনের আওতায় দণ্ড কার্যকর হয়েছে এবং সাজাপ্রাপ্তদের আত্মরক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেন তুন।
মিয়ানমারে কয়েক দশকের মধ্যে এবারই প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল।