অ্যাঙ্গোলায় ৩শ’ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোলাপি হীরার সন্ধান

download

অ্যাঙ্গোলার লুলো অ্যালুভিয়াল খনিতে পাওয়া ১৭০ ক্যারেট এবং ৩৪ গ্রাম ওজনের দুষ্প্রাপ্য এই হীরার নাম খনির নামানুসারে রাখা হয়েছে ‘লুলো রোজ’।

বিরল গোলাপি হীরার সন্ধান মিলেছে মধ্য আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলায়। এটি বিশ্বে ৩০০ বছরের মধ্যে খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় হীরক খন্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৭০ ক্যারেট এবং ৩৪ গ্রাম ওজনের দুষ্প্রাপ্য এই হীরার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লুলো রোজ’।

অ্যাঙ্গোলার লুলো অ্যালুভিয়াল খনিতে হীরাটি পাওয়া যাওয়ায় খনির নামানুসারেই এর নামকরণ করা হয়েছে।

খনির মালিক অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লুকাপা ডায়মন্ড কোম্পানি বুধবার তাদের ওয়েবসাইটে এ ঘোষণা দিয়েছে।

লুকাপা ডায়মন্ড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, “তিন শতকেও এত বড় গোলাপি হীরা পাওয়া যায়নি খনিতে। বড় বড় হীরক খন্ড উত্তোলনের অনেক রেকর্ডই আমাদের আছে। তবে এই হীরা একেবারে আলাদা।”

“হালকা গোলাপি রঙ নিঃসন্দেহে অসাধারণ সুন্দর করে তুলেছে হীরাটিকে। লুলো রোজ উচ্চ মূল্যে বিক্রি হবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।”

আন্তর্জাতিক দরপত্র বা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে হীরাটি। চড়া দাম পাওয়ার আশা করছে খনি মালিক প্রতিষ্ঠান।

বিবিসি জানায়, লুকাপা কোম্পানি এবং অ্যাঙ্গোলা সরকার যৌথ উদ্যোগে হীরাটি খনি থেকে তুলে এনেছে। এটি লুলো খনি থেকে পাওয়া বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম হীরা। ২এ শ্রেনির খাঁটি হীরা এটি।

এই হীরা পাওয়াকে ঐতিহাসিক ঘটনা আখ্যা দিয়েছে অ্যাঙ্গোলার সরকার। হীরাটি বিশ্বমঞ্চে অ্যাঙ্গোলাকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে তুলে ধরবে বলেও আশা তাদের ।

এর আগে একই ধরনের হীরা নিলামে কোটি কোটি ডলারে বিক্রি হওয়ার ইতিহাস আছে। ২০১৭ সালে হংকংয়ে এক নিলামে ‘পিংক স্টার’ হীরা ৭ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল।

তবে লুলো রোজের দাম কত উঠবে তা হীরাটি কেটে একটি আকৃতিতে নিয়ে না আসা পর্যন্ত আন্দাজ করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন এক অলঙ্কার বিশেষজ্ঞ।

Pin It