বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করার টার্গেট নিয়েছে বিএনপি: নানক

image-583461-1660388534

বিএনপি দেশের জন্য একটি বোঝা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, এই দলটি বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করতে চায়। তারা এখন সেই টার্গেট নিয়েছে। বিভিন্ন সময় হাক-ডাক দেয়।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) কক্সবাজার জেলার পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদী বিরুদ্ধে ছাত্র সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে দিনক্ষণ দিয়ে কোন লাভ নেই উল্লেখ করে নানক বলেন, মনে নাই? আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে ছিলাম। জনগণ আর আপনাদেরকে ক্ষমতায় বসতে দেয়নি, দেবেও‌ না। তাই একবার বলে রোজার ঈদের পরে, আরেকবার বলে কুরবানি ঈদের পরে, এখন আবার তারিখ দিয়েছে ডিসেম্বর মাস। এর মূল কারণ, বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করার জন্যই তারা টার্গেট করেছে। কারণ এই মাস মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা আবার সেই পাকিস্তানি পরাজিত শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতেই আবার বাংলার স্বাধীনতার বিজয়ের মাসকেই বেছে নিয়েছে। কিন্তু বাংলার মাটিতে তা আর হতে দেওয়া হবে না।

বিএনপির মহাসচিবের উদ্দেশ্যে আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর এই সদস্য বলেন, এই যে দিন- তারিখ দেন এগুলো আর ভালো লাগেনা। বরিশাল জেলায় ‘চর’ দখলের জন্য এক সময় দিন তারিখ দেওয়া হতো। বিএনপি রাজনীতি করতে নামেনি, তারা চর দখল করতে নেমেছে। তারা এখন মাহুত ছাড়া পাগলা হাতি। এদেশের জন্য একটি হুমকি।

আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নানক বলেন, খালেদা জিয়া দণ্ডিত আসামি। আইনের দৃষ্টিতে তিনি নির্বাচন করতে পারেন না। তাদের দলের আরেকজন (তারেক রহমান) লন্ডনে বিশাল এক বাড়িতে থাকে। বাংলাদেশ থেকে লুট করা অর্থ নিয়ে সেখানে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে। বিএনপি কিছু অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন সময় হাক-ডাক দেয়।

চট্টগ্রামে বিএনপির গণ সমাবেশের প্রসঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নানক বলেন, বিএনপি নাকি একটি সমাবেশ করেছে। সারা দেশ থেকে নাকি তাদের নেতাকর্মী সেই সমাবেশে যোগ দিয়েছে। তারা যেটাকে সমাবেশ বলছে, মানুষ হাসে। আওয়ামী লীগের অন্য কোন সহযোগী সংগঠনের দরকার নেই, বাংলাদেশ ছাত্রলীগই এর চেয়ে বড় সমাবেশ করতে পারে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

Pin It