দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বসেছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি মেলা জিটেক্স টেকনোলজি এক্সপো- ২০২২।
বিশ্বের খ্যাতনামা সব প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন এতে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেটাভার্স, ওয়েব থ্রি, ব্লকচেইন টেকনোলজিসহ প্রযুক্তি দুনিয়ায় পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তারা অংশ নিয়েছেন এ প্রযুক্তি মেলায়।
এক্সপোতে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছে খ্যাতনামা আইটি প্রতিষ্ঠান বিডিটাস্ক। নিজেদের তৈরি ব্লকচেইন সফটওয়্যার এবং হেলথ টেকসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে মেলায় রয়েছেন তারা।
বেশ সাড়া ফেলেছে তাদের তৈরি ব্লকচেইন টেকনোলজির এনএফটি সার্ভারসহ ব্লকচেইন রিলেটেড সার্ভিসগুলো।
প্রযুক্তি দুনিয়ায় যে আমরাও এগিয়ে আছি, বাংলাদেশ যে পিছিয়ে নেই সেটিই জানান দিচ্ছেন বাংলাদেশের তরুণরা।
বিডিটাস্কের ডিরেক্টর (অপারেশন) তানজিল আহমেদ জানান, ইভেন্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টেক জায়ান্ট ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা আসছেন।
আমরা এ রকম এক্সপোতে যোগ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত। কারণ প্রযুক্তি দুনিয়ার অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে এখানে। অনেক স্টার্টআপ ইভেন্ট হয় এখানে।
নতুন নতুন ইনভেস্টররা আসছেন আমাদের স্টল ঘুরে দেখে বেশ প্রশংসাও করছেন। সবচেয়ে বড় কথা প্রযুক্তি দুনিয়ার এত বড় আয়োজনে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করার সুযোগ পেয়েছি এটিই গর্বের বিষয়।
দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি স্কয়ারফিট জায়গাজুড়ে মঙ্গলবার থেকে বসেছে প্রযুক্তির এই বড় আসর। যোগাযোগ ও ডিজিটাল অর্থনীতির নতুন নতুন সংযোজন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনারসহ নানা আয়োজন থাকছে এক্সপোতে।
বিডিটাস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামস মোহাম্মদ তারেক বলেন, ডিজিটাল ইউনিভার্সে প্রবেশ করতে যাচ্ছি আমরা। নতুন ডিজিটাল মহাবিশ্ব অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
দুবাইয়ে অসাধারণ সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হচ্ছে। তা ছাড়া অনেকেই তাদের প্রযুক্তি ও ব্যবসা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলছে।
বিষয়টি বেশ আনন্দের। এতে করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা আরও বাড়বে বলেই আশা রাখি। পাশাপাশি বাংলাদেশে থেকে প্রচুর আইটি ইঞ্জিনিয়ার ও আইটিসেবা রপ্তানি করা যাবে, যা এক বিশাল সম্ভাবনা ।