৯ দেশের ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

WILMINGTON, DE - NOVEMBER 04: Democratic presidential nominee Joe Biden speaks one day after Americans voted in the presidential election, on November 04, 2020 in Wilmington, Delaware. Biden spoke as votes are still being counted in his tight race against incumbent U.S. President Donald Trump which remains too close to call. Drew Angerer/Getty Images/AFP == FOR NEWSPAPERS, INTERNET, TELCOS & TELEVISION USE ONLY ==

যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নয় দেশের ৪০ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দিবস ও বৈশ্বিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে এ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই বাংলাদেশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারবে না তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা। এমনকি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যেসব সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত ইরান, মিয়ানমার, রাশিয়া, চীন, গুয়াতেমালা, লাইবেরিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া ও পশ্চিম বলকান অঞ্চলের। তাদের মধ্যে উত্তর কোরিয়া সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞায় ভারতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফুনসাগা পিটিই লিমিটেডের পরিচালক দীপক যাদবের নাম রয়েছে।

ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে চীনের নাগরিক লি ঝেনিউ ওং ঝুও জিনরং। এ ছাড়া এই দুই চীনা নাগরিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ১০টি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ ন্যাসডাকের তালিকাভুক্ত পিংটান মেরিন এন্টারপ্রাইজ (পিএমই) ও ডালিয়ান ওশেন ফিশিংয়ের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ১৫৭টি চীনা পতাকাযুক্ত মাছ ধরার জাহাজ রয়েছে। অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগেই চীনা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা ব্রায়ান ই নেলসন বলেন, যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারা মানবাধিকারের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িত।

মানুষের শ্রম, পরিবেশগত মান ও ইন্দো-প্যাসিফিকের স্থানীয় জনসংখ্যার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ক্ষতি করছে তারা। ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট সবসময় এসব অনুশীলনের নিন্দা করে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশনও। ইউক্রেনের রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত চারটি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত গণভোটের জেরেই তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চার রুশ নাগরিকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

চীনের তিব্বত অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দুই চীনা কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। এর মধ্যে উ ইংজি ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিব্বতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। আরেকজন হলেন ঝাং হংবো, যিনি কিনা এই অঞ্চলের একজন সিনিয়র জননিরাপত্তা কর্মকর্তা।

ইরানে বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়নের জন্য ইরানি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বর্ডার গার্ডের প্রধান ও গিনির সাবেক রাষ্ট্রপতি আলফা কন্ডের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।

Pin It