বৈশ্বিক জিডিপির ৩৫তম স্থানে বাংলাদেশ, ৪২-এ পাকিস্তান

image-631954-1672937736

বিদায়ী ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির আকার ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতির একটা বড় অংশজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি ও ভারত রয়েছে। বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অর্ধেকই এই পাঁচ দেশের। এ বৈশ্বিক জিডিপির তালিকায় ৩৫তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর পাকিস্তানের অবস্থান ৪২তম।

সম্প্রতি কানাডাভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য-উপাত্তের সাহায্য নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গত বছরে বিশ্বে দুটি বড় ঘটনা ঘটেছে। এক. বিশ্ব অর্থনীতির আকার ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দুই. বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি পার হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতির একটা বড় অংশজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি ও ভারত রয়েছে। বিশ্বের মোট জিডিপির অর্ধেকই পাঁচটি দেশের। গত বছর যুক্তরাজ্যকে টপকে ভারত পঞ্চম স্থান দখল করে নিয়েছে। আরও পাঁচটি দেশকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হলে ১০টি দেশের মিলিত জিডিপি হবে বৈশ্বিক জিডিপির ৬৬ শতাংশ। আর বৈশ্বিক জিডিপির ৮৪ ভাগের অংশীদার বিশ্বের ২৫টি দেশ। বিশ্বের বাকি ১৬৭টি দেশের জিডিপির পরিমাণ খুবই কম- মাত্র ১৬ শতাংশ।

এ হিসাবে বৈশ্বিক জিডিপির তালিকা অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান ৩৫তম। বাংলাদেশের জিডিপির আকার ৪৬০ বিলিয়ন ডলার বা ৪৬ হাজার কোটি ডলার। বাংলাদেশের ঠিক আগেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও অস্ট্রিয়ার মতো দেশ। আর ঠিক পরেই আছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম। আর পাকিস্তানের অবস্থান ৪২তম। নিম্ন জিডিপির দেশগুলোর বেশিরভাগই ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপদেশ।

প্রতিবেদনটিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জিডিপি নিরিখেই হিসাব করা হয়েছে। এতে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশ্ব অর্থনীতিতে ছোট-বড় সব দেশের জিডিপির হিসাব যুক্ত হয়েছে। এতে কোন দেশের হিস্যা কত সেসব তুলে ধরা হয়েছে।

অর্থনীতির এক ঘোর অনিশ্চয়তা নিয়ে ২০২৩ শুরু হয়েছে। করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতিতে নাকাল বিভিন্ন দেশের মানুষ। অনেক বিশেষজ্ঞ স্বল্প আকারে মন্দা সৃষ্টি হওয়ার কথা বলছেন। তবে এটা স্বল্প না দীর্ঘস্থায়ী হবে- তা নিয়ে বিতর্ক আছে। এরই মধ্যে আইএমএফ বলেছে, বিশ্বের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ দেশ মন্দার কবলে পড়বে।

অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, অর্থনীতির নিম্নগামী প্রবণতাকে চীন রুখতে পারবে। আর এ পূর্বাভাস ঠিক হলে বিশ্ব জিডিপির হিস্যায় চীনের অংশ আরও বাড়বে।

Pin It