শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে রেকর্ড

c9ae4de2090af3a335cbb41edadadace-5f6d85bced2e5

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে রেকর্ড করেছে। এমনকি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও দেশটি অনেক উন্নয়ন করছে।

অনলাইন গণমাধ্যম এশিয়ান লাইট ইন্টারন্যাশনালের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিপুল জনশক্তি, শক্তিশালী তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) ও এর রপ্তানি, স্থিতিশীল রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং স্থিতিশীল সামষ্টিক-অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নিবন্ধে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দক্ষিণ এশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ দেশ বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ অঞ্চলে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ নিম্নআয় এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের-উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। নতুন নতুন ফ্লাইওভার, সেতু এবং বাণিজ্যিক বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকায় ‘উল্লেখযোগ্য রূপান্তর’ ঘটেছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার রপ্তানিমুখী শিল্প সম্প্রসারণ এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করতে ২০১০ সালে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পদ্মা নদীর ওপর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেল-সড়ক সেতু অবদান রাখছে। স্বাধীনতার পর থেকে সেতুটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির শীর্ষ ১০টির মধ্যেও বাংলাদেশ রয়েছে।

নিবন্ধে বলা হয়, অতীতে বাংলাদেশ কেবলই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। আর এ দেশটিই এখন লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের খপ্পর থেকে বের করে আনা এবং ৬ দশমিক ৬ শতাংশেরও বেশি গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। এমনকি মিয়ানমার থেকে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, জিডিপির দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪৩তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। একই সঙ্গে পিপিপির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩২তম। আন্তর্জাতিক পেশাদার পরিষেবা ব্র্যান্ড প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স-এর দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৮তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে।

Pin It