ঢাবিতে এস এ মালেকের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

Remembering SA Malek

দেশের বিভিন্ন সংকটে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক এই সভাপতি।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডা. এস এ মালেকের প্রয়াণে স্মরণসভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।

শনিবার বিকালে অনুষদের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ স্মরণসভায় তাকে স্মৃতিচারণ করেন আলোচকরা।

তাকে স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বঙ্গবন্ধুর মূল্যবোধ চর্চা করার একটা অসাধারণ প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়ে গেছেন ডা. এস এ মালেক।”

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এ মালেক গত ৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

উপাচার্য বলেন, “তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ ও ডাক্তার হলেও আমাদের মাঝে একজন শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। তিনি সব সময় এদেশের সংকটের মুহূর্তে সোচ্চার থাকতেন।”

ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, যোগ করেন উপাচার্য।

স্মরণসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ডা. এস এ মালেক এর অভাব অপূরণীয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে পঁচাত্তর পরবর্তী তার ভূমিকা স্মরণীয়।

“স্বৈরশাসনের হাত থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে একটি পার্লামেন্টারি সরকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করেছিলেন। সরকারের সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতেন।”

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে তিনি (এস এ মালেক) জনমত গড়ে তুলতে কাজ করেছেন বলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান।

এস এ মালেকের ছোট মেয়ে অবনি মাহবুব বলেন, “আমার বাবা সবসময় বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শিক সৈন্য ছিলেন। তিনি নিজেই যেমন অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন তেমনি আমরা যারা তার সন্তান আছি আমাদেরকেও সেই শিক্ষা দিয়েছেন।”

সভার আগে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, সাংবাদিক স্বদেশ রায়, কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জাকারিয়া মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

Pin It