ওজন কমাতে হলে আজ থেকেই শুরু করতে পারে হাঁটা।
কাল থেকে শুরু করবো! এভাবে দিন যায় কিন্তু শুরু করা হয় না।
দেহের বাড়তি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এরকম টালবাহানা মনের মধ্যে সবসময়ই খেলতে থাকে। তাই কাল নয়, আজ থেকেই শুরু হোক বাড়তি মেদ ঝরানোর যাত্রা।
সে কারণে এই সপ্তাহ থেকেই শুরু করা যেতে পারে ছোটখাট অভ্যাস।
নাস্তা আগেই তৈরি করে রাখুন
পুষ্টিকর নাস্তা কিনে রাখা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর খেতে হবে সময় বুঝে।
‘ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘ফাইনালি ফুল, ফাইনালি স্লিম’ বইয়ের মার্কিন লেখক, পুষ্টিবিদ লিসা ইয়ং বলেন, “আমি সাধারণত আগেভাগেই নাস্তা তৈরি করে রেখে দেই। যাতে খিদা পেটে নাস্তা নির্বাচন করতে না হয়। কারণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় নাস্তা কিনতে গেলে বা তৈরি করলে মুখোরোচক খাবারই পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, “একবেলা খাওয়ার মতো শসা, ক্যাপ্সিকাম টুকরা করে কেটে জিপলক ব্যাগের ভরে ফ্রিজে রেখে দেই। নাস্তার সময় পাতলা চিনিমুক্ত বিস্কুট ভেঙে নেই কয়েকটা এর সঙ্গে। এরফলে যেমন সালাদ খাওয়া হয় তেমনি বিস্কুটের জন্য মুখোরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছেটাও মিটে যায়।”
প্রতিদিন ব্যায়ামের মাত্রা বাড়ানো
যে কোনো একটি পছন্দের ব্যায়াম বেছে নিতে হবে।
ইয়ং বলেন, “নিজের মধ্যে উৎসাহ আনার জন্য সহজ কাজটি বেছে নিতে পারেন। সেটা হল হাঁটা। হতে পারে সেটা একা কিংবা বন্ধুদের সাথে পার্কে। এটা সহজ আর ক্যালরি ঝরাতেও সাহায্য করে। ফলে ওজন কমবেই।”
প্রথমদিন ত্রিশ মিনিট হাঁটলে পরের দিন আরও একটু বেশি সময় হাঁটার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে দিনের পর দিন হাঁটার পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম শুরু করলে অভ্যস্ত হতে বেশি সময় লাগবে না।
পুষ্টিকর খাবার যোগ করা
“দৈনিক খাদ্যতালিকায় প্রতিবেলার খাবারে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেইট ও অল্প তেল সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে, যা কিনা শরীরে যোগাবে শক্তি”, বলেন ইয়ং।
আর এভাবে খেলে পেট ভরা থাকবে অনেকক্ষণ। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার পরিমাণ কমবে।
প্রোটিন বেশি খেলে ক্যালরি কম গ্রহণ করা হবে। এজন্য সামুদ্রিক খাবার, চর্বিহীন মাংস, মটরশুঁটি বা ছোলা, ডিম, বাদাম, বীজ ও অল্প ননিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার বেছে নিতে হবে।
ঘরেই খাবার রান্না করা
বাইরের খাবার কী কী উপকরণে রান্না করা হয়েছে তা বেশিরভাগ সময়ই জানা হয় না। ফলে সহজেই দেহের বাড়তি ওজন লাগতে থাকে।
নিজে রান্না করলে রান্না উপকরণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ইয়ং বলেন, “বেশি তেল বা লবণ দিয়ে রান্না করা যাবে না। ওজন বাড়াবে না প্রদাহ তৈরি করবে না এরকম খাবারই তৈরি করে নিতে হবে।”