বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা করা হব: আমির খসরু

image-657135-1679417268

আগামীতে ক্ষমতায় গেলে কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে এমন পরিকল্পনা নিয়ে সিলেটে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার বিকালে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর দরগাহ গেটের একটি হোটেলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজনীতিতে পেশাজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশাজীবীদের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি হয়। বাংলাদেশের ৬৫ ভাগ ভোটার তরুণ। এ তরুণদের মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। দেশ আজ যে গর্তের মধ্যে পড়েছে তা থেকে উত্তোলনের জন্যই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিস্ট বিদায়ের পর বিএনপি কোন নীতিতে দেশ পরিচালনা করবে- এমন বিষয়কে সামনে রেখেই দীর্ঘ গবেষণার পর রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের এ রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ থাকবে।

তিনি বলেন, যারা ক্ষমতা দখল করে আছে তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই এটিকে সরকার বলা যায় না। সরকার হলো জনগণের ভোটে নির্বাচিত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়েছে। বিএনপি তার পরেও শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। কারণ বিএনপি দেশে বিশৃঙ্খলা চায় না, বিএনপি শান্তি চায়।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। জেলা বিএনপির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক জাহেদ আহমদের কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সূচিত সভার শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

আরও বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি মাহবুবুর রহমান খালেদ, সিলেট পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ডা. শামিমুর রহমান, শাবিপ্রবির শিক্ষক প্রফেসর ড. শাহ আতিকুল হক, প্রফেসর খালেকুর রহমান, সিকৃবির শিক্ষক প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, সিলেট জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ।

উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক এটিএম ফয়েজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, জেলা বিএনপি নেতা হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, শাহ জামাল নুরুল হুদা, ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, মাহবুবুল হক চৌধুরী, এডভোকেট আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, সালেহা কবির শেপী, অ্যাডভোকেট আল আসলাম মুমিন, আব্দুল হাফিজ, শাকিল মোর্শেদ, শরিফুল হক, আলী আকবর, আলাউদ্দিন রিপন, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তোরন, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, সুলতানা রহমান দিনা, আলাউদ্দিন আলাই, নাজিম উদ্দিন পান্না, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খান, শামসুর রহমান শামীম প্রমুখ।

Pin It