রোজার মধ্যে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে এবং মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে যারা পহেলা বৈশাখের সকালে ক্যাম্পাসে যাবেন, তাদের বরাবরের মতই কিছু নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ও কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’র সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব অনুষ্ঠান বিকাল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর কোনভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে।
পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদের বানানো মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে।
ক্যাম্পাসে ‘ভুভুজেলা’ বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর চারুকলা অনুষদ থেকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে আবার চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।
নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।
নববর্ষের দিন রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসা ব্যক্তিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদের বিপরীতে ছবির হাটের গেইট, বাংলা একাডেমির বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বের হওয়ার পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেইট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেইট ও বাংলা একাডেমির বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ব্যবহার করা যাবে।
নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।