সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার বিচার দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।
বিএফইউজে (একাংশ) সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, নাদিম হত্যা একটি পরিকল্পিত বিষয়। শুধু যে চেয়ারম্যান জড়িত, এটি আমি বিশ্বাস করি না। পুলিশ আন্তরিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত জড়িতরা বের হয়ে আসবে। এ হত্যার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।
তিনি বলেন, বালু, মানিক সাহা, সাগর-রুনিসহ কোনো সাংবাদিক হত্যার বিচার হয়নি। উলটো যারা নির্যাতন করেছেন, তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। আর যদি কোনো সাংবাদিক হত্যার শিকার হন, আমরা প্রয়োজনে বৃহত্তর কর্মসূচি দেব।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমি জামালপুরে গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার পরিবারের খুবই অসহায় অবস্থা। জানাজা দেওয়ার টাকাটাও নেই তার পরিবারের। আপনারা যদি খবর নেন, দেখবেন যিনি এই হত্যার জন্য দায়ী, ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় এসেছে। কিন্তু তারা অনুপ্রবেশকারী। যারা আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালাচ্ছে, এদের খুঁজে বের করার এখনই সময়।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, আমরা আজ শোকাহত, রক্তাক্ত। কেন রক্তাক্ত, কারণ নাদিম একজন পেশাদার সাংবাদিক। তিনি বলেছিলেন, কোনো হুমকি আমাকে থামাতে পারবে না। তিনি স্থানীয় মাসলম্যানের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন, এজন্য তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না পৃথিবীতে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আর না দিলে সারা বাংলাদেশে আগামী দিনে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য দুলাল খান, সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী ও সাবেক সভাপতি নাসিমা আক্তার সুমা প্রমুখ।
এছাড়া ক্লাব-৯৬ বাংলাদেশ, পিআইবি জার্নালিজম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ (পিবজা) কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠন রাজধানীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।