সংলাপ নিয়ে দলের অবস্থান ফের স্পষ্ট করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, এজেন্ডাবিহীন কোনো সংলাপে অংশ নেবেন না তারা।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপে বসতে বিএনপি রাজি থাকলে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। তার এমন বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তারা বারবার সংলাপের কথা বলে আসছেন। তবে সেই সংলাপ অবশ্যই হতে হবে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে। এই একটিমাত্র ইস্যুতে সরকার সংলাপের আমন্ত্রণ জানালে তারা বিষয়টি ভেবে দেখবে। এছাড়া সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো আগ্রহ তাদের নেই।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আপনি ফখরুলকে জিজ্ঞেস করেন তারা সংলাপ করতে রাজি আছে কি না। এরপর আমরা বিবেচনা করব। কারণ, আমাদের প্রেসিডেন্ট (রাষ্ট্রপতি) একবার ডেকেছিলেন, নির্বাচন কমিশন দুবার তাদের ডেকেছে, তারা আসেনি। তাদের অ্যাটিচিউডটা কী, সেটা আগে জানান’।
ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এজেন্ডা ছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে তারা আগেও সংলাপ করেছিলেন। কিন্তু তারা সংলাপে দেওয়া কোনো প্রতিশ্রুতিই রাখেনি। তাই তাদেরকে আর বিশ্বাস করা যায় না। এবার কোনো সংলাপ হলে সেটা অবশ্যই এজেন্ডার মধ্যে হতে হবে। আর এই মুহূর্তে সংলাপের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। শুধু বিএনপি নয়, দেশের প্রতিটি মানুষের চাওয়াও এটাই। তাই সরকার যদি এই ইস্যুতে আলোচনা করতে চায় তাতে শুধু বিএনপি নয় সব রাজনৈতিক দলই সম্মত হবে বলে মনে করি। তবে সংলাপের আগে সরকারকে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিয়ে আলোচনায় না বসলে রাজপথেই এর সমাধান হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।