নেতারা নির্বাচন করতে চান কিন্তু বিএনপি দিচ্ছে না: তথ্যমন্ত্রী

image-701957-1690814867

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির বেশির ভাগ নেতাই নির্বাচন করতে চান। কিন্তু দলটি কাউকে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদেও নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। কিন্তু দলের মধ্য থেকে নির্বাচন করতে না পারলেও তাদের সবাই নির্বাচন করতে চান। সেটির বহিঃপ্রকাশ আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখেছি। উকিল আব্দুল ছাত্তারকে দেখেছি। এরকম বহু উকিল আব্দুল ছাত্তার আগামী নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) আমন্ত্রণে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যবেক্ষক দল জানতে চেয়েছে আগামী নির্বাচন করার লক্ষ্যে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশনের কী পরিস্থিতি। সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি তাদের জানিয়েছি, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকার শুধু ফেসিলিটেটরের (সাহায্যকারী) ভূমিকা পালন করবে। অর্থাৎ নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর সরকারের আসলে মাঠ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসন এবং অন্যান্য প্রতিতিষ্ঠান যেগুলো নির্বাচন কাজে ব্যবহৃত হয় তাদের ওপর সরকারের কোনো কর্তৃত্ব থাকে না। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত সরকার কোনো কর্মকর্তাকে ট্রান্সফার করতে পারে না, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া ঢাকা-১৭ আসনে একজন প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছিল। সেটি নির্বাচনকেন্দ্রের বাইরে, বরিশালে ঘটনাটিও নির্বাচনকেন্দ্রের বাইরে। আমার ধারণা তারা বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের অধীনে বর্তমান সংবিধানের আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব।

ঢাকা-১৭ আসনে একজনকে মারার পর ১২ রাষ্ট্রদূতসহ ১৩ জন বিবৃতি দিয়েছিলেন, কিন্তু শনিবারের ঘটনা নিয়ে কোনো বিবৃতি নেই, এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন-এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ভালো তো। দেশে কোনো কিছু ঘটলে সেটি নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সেটা সমীচীন নয়। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করেছে।

Pin It