খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ২৯৮নং সংসদীয় আসনের সংসদ-সদস্য (এমপি) কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও।
এলাকায় অঘোষিত ‘রাজা’খ্যাত এই এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। ইচ্ছামতো ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, টেন্ডারবাজি, অর্থের বিনিময়ে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য, দলের পদ ও কমিটি বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করা এবং চিহ্নিত রাজাকারপুত্র ও বিএনপি নেতাদের দলে এনে পুনর্বাসনের অভিযোগও আছে। এককথায়-খাগড়াছড়ি জেলায় ‘রাম রাজত্ব’ কায়েম করেছেন তিনি। সরকারি কর্মকর্তা থেকে আমলারাও অসহায় তার ক্ষমতার কাছে।
এসব অপকর্মের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। অল্পদিনের ব্যবধানে হয়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক।
খাগড়াছড়ি জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের দাবি-এমপি কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা শুধু একজন আপাদমস্তক দুর্নীতিবাজ ও ঘুসখোর নন, আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার একজন কারিগরও বটে। তার কারণে জেলায় আওয়ামী লীগ দুইভাগে বিভক্ত। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদেরও রেখেছেন কোণঠাসা করে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১ সালের ৮ জুন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে ১৮৬ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-এমপি কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিটি পদের জন্য ১২-১৫ লাখ টাকা করে ঘুস নিয়েছেন।
জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং হর্টিকালচার সেন্টারে ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ১১০ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের কাছ থেকেও পদ-পদবি অনুসারে ৫-১৫ লাখ টাকা করে ঘুস নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
একইভাবে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর টাকার বিনিময়ে খাগড়াছড়িতে দুই শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আছে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও খাগড়াছড়িতে কৃষি বিভাগের জনবল নিয়োগেও এমপির অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিমূলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খাগড়াছড়িতে জনবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমপির বিরুদ্ধে।
খাগড়াছড়ি কৃষি অফিসের একটি সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির স্টোরকিপার পদে ৫ জন, অফিস সহকারী-কাম-মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৬ জনসহ ২১ জনের কাছ থেকে জনপ্রতি ১৫ লাখ টাকা করে, স্টোরকিপার পদপ্রত্যাশীদের থেকে ৩ কোটি ১৫ লাখ এবং চতুর্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদে ৯৩ জনের কাছ থেকে ১০ লাখ করে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা উৎকোচ (ঘুস) গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন এমপি কুজেন্দ্র লাল।
২০১২ সালের ৪ আগস্ট জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে বিভিন্ন পদে ৪৯ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ঘুস লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
অথচ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও টাকার অভাবে চাকরিবঞ্চিত হয়েছেন বলে অনেকেরই অভিযোগ।
এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে ২৫৮ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন প্রার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে, এমপি এবং তার সহযোগীরা মিলে একটি পদের জন্য একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
যার ফলে এমপি বেকায়দায় পড়বেন বুঝতে পেরে নিজের লোক দিয়ে আদালতে মামলা করিয়ে নিয়োগ স্থগিত করিয়েছেন। যাতে টাকা ফেরত দিতে না হয়। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সাধারণ নেতাকর্মীদের থেকে শুরু করে ভুক্তভোগীরা ক্ষোভে আছেন, যে কোনো সময় শিক্ষক নিয়োগ বিষয় নিয়ে সংঘাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাব আগামী জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে বলে দাবি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের।
এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেনকে দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
পরবর্তীকালে সোহরাব হোসেন দুর্নীতি মামলা ও অনিয়ম থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তবে নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ থেকে পদাবনতি হয়ে উপপ্রকৌশলী হিসাবে পিআরএল-এ গিয়েছেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ী, জেলার ৮৮টি গুচ্ছগ্রাম (অ-উপজাতি) প্রকল্পের ২ বছর অন্তর প্রকল্প চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগেও জেলা প্রশাসককে দিয়ে সুপারিশপত্রের মাধ্যমে তিনি প্রতিটি গুচ্ছগ্রাম থেকে ৩ লাখ টাকা করে উৎকোচ (ঘুস) নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, একজন সংসদ-সদস্যের প্রতিবছর ৪ কোটি করে ৫ বছরে ২০ কোটি (টিআর/কাবিখা/কাবিটা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দ পান। কিন্তু এই বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটার অর্থের হিসাব কাগজে-কলমে ঠিক রেখে দুর্নীতির মাধ্যমে কোনো কাজ না করেও সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত সম্পূর্ণ অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে।
এদিকে গত ৪ বছরে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুদকসহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেও অপকর্মের তদন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে তার নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ মানুষের। খাগড়াছড়ি এলাকায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ছাড়া নৌকা চাই-এ স্লোগান সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
ঘুসের বিনিময়ে জেলা পরিষদে চার বাঙালি সদস্য করেন এমপি : অভিযোগ আছে, জনপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ লাখ টাকা করে ঘুস নিয়ে কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, মো. আব্দুল জব্বার, মো. মাঈন উদ্দিন ও শাহিনা আক্তারকে জেলা পরিষদের সদস্য করেছেন এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এতে বাঙালিদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বাঙালিদের প্রশ্ন-শুধু কি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় বাঙালি রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী উপজেলাভিত্তিক হিসাবে বাঙালি সদস্য একজন নেওয়ার নিয়ম থাকলেও টাকার বিনিময়ে মানিকছড়ি উপজেলায় একসঙ্গে তিনজন নিয়োগ দিয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের আইন ভঙ্গ করেছেন এমপি।
যত সম্পদ : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা রাঙ্গামাটি সাজেকে ৩৫ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তুলেছের খাসাং রিসোর্ট নামে ২ দুটি রিসোর্ট। আনুমানিক মূল্য ৬৫ কোটি টাকা।
খাগড়াছড়ি সদরের খাগড়াপুর এলাকায় কানিপ্রতি ২ কোটি টাকা দরে ২ কানি (৮০ শতাংশ) জমি ক্রয় করে ৫ তলা বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ করেছেন তিনি। খাগড়াছড়ি সদরের নিউজিল্যান্ড রোড এলকায় প্রতি কানি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দরে নামে-বেনামে ৭ কানি (২৮০ শতাংশ) জায়গা রয়েছে, যার বাজার দর ১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এছাড়া খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন আলুটিলা পর্যটন এলাকায় ১০ একর (১০০০ শতাংশ) সরকারি খাসজমি দখল করে খাগড়াছড়ি সদর আলুটিলা এলাকায় অনুমোদনহীন দৃষ্টিনন্দন খাসাং রিসোর্ট নির্মাণ করেন এমপি কুজেন্দ্র লাল, যেখানে প্রতিনিয়ত মদের আসর, জুয়ার আসর ও অসামাজিক কার্যকলাপ হয়ে থাকে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার রাস্তার বাম-ডান উভয় পাশে এমপির কয়েক হাজার একর জমিতে আমবাগান রয়েছে। দীঘিনালা উপজেলাধীন বোয়ালখালী এলাকায় স্ত্রী ও নিজের নামে কুজেন্দ্র মল্লিকা কলেজের (প্রাইভেট) নামে ২০ কোটি টাকার ব্যক্তিগত ট্রাস্টি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে বেশকিছু অ্যাকাউন্ট খুলে মোটা অঙ্কের টাকা রেখেছেন এমপি। দীঘিনালা এমপির নিজ এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক আনুমানিক ২০০০ কানি জমি নিজের দখলে রেখেছেন তিনি।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলাধীন ভুয়াছড়ি এলাকায় বাঙালিপাড়ার পাশে ডা. রফিকের কাছ থেকে ৪০ কানি ১৬০০ শতক জায়গা জনৈক মকুল চাকমার নামে ক্রয় করেন তিনি। পাশাপাশি রাঙামাটির কাপ্তাই মগবান ইউনিয়নে ২৬ একর জমি রয়েছে। জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমার বিলাসবহুল ৬ তলা ভবনের পাশে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের জমি রয়েছে। এছাড়াও নামে-বেনামে এমপির রয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্পদ। আর এমপিপুত্রের নামে ৩৬ লাখ টাকার লাল রঙের একটি বিলাসবহুল প্রাইভেট কার কেনেন তিনি। কুজেন্দ্র লাল স্ত্রীকে ১৮ লাখ টাকার রিকন্ডিশনের একটি প্রাইভেট কার কিনে দেন। এছাড়া পরিবহণ খাতে ব্যবসার উদ্দেশ্যে পিকআপ-১, পিকআপ-২-সহ ভাড়ায়চালিত অসংখ্য গাড়ি রয়েছে তার। এছাড়া নিজের ব্যবহৃত ৪ কোটি টাকা দামের একটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।
খাগড়াছড়ির আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম বলেন, এমপি কুজেন্দ্র লাল অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে পুরো খাগড়াছড়ি গিলে খাচ্ছেন। তিনি দুই মেয়াদে এমপি হয়ে দলটাকে ধ্বংস করেছেন। প্রায় শূন্য থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
চিহ্নিত রাজাকারের সন্তান ও বিএনপি নেতাদের দলের নেতা বানিয়েছেন। অন্যদিকে ১৫ বছর ধরে একটা দলীয় বৈঠকও তিনি করতে পারেননি। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ, জেলা পরিষদের সদস্য নিয়োগ করেছেন এমপি।
মাটিরাঙা পৌরসভার মেয়র ও খাগড়াছড়ির জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামশুল হক বলেন, এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা দলটাকে বিক্রি করে লুটেপুটে খাওয়া ছাড়া তার আর কোনো কাজ নেই। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোয়ন বিক্রি করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা করে ঘুস নিয়েছেন। আমি নিজেই ভাতিজার জন্য ২৫ লাখ টাকা এমপির হাতে দিয়েছি। তিনি শুধু অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছেন।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, এমপি দলীয় কোনো প্রোগ্রাম করেন না। প্রোগ্রামের নামে দুটি গাড়িতে ২০ থেকে ৩০ জন মেয়ে নিয়ে দলীয় প্রোগ্রামের নামে নোংরামি করেন, যা দলের জন্য ব্যাপক ক্ষতি করেছেন।
১৯৭১ সালের রণাঙ্গনের সম্মুখযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণবিক্রম ত্রিপুরা বলেন, যুদ্ধ করে দেশটা স্বাধীন করেছি আজকের এ পরিণতি দেখার জন্য নয়। এমপি সাহেব পুরো খাগড়াছড়ি জেলা অনিয়ম-দুর্নীতির কারখানায় পরিণত করেছেন। সরকরি বিভিন্ন দপ্তরকে দিয়ে নিজের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগকে মৃত ও অকার্যকর করে রেখেছেন, যা আগামী নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে জানান তিনি।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা যা বললেন : উল্লিখিত সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগবিরোধী একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন করে আসছে। এ সরকারের উন্নয়নকাজকে তলানিতে নিতে দীর্ঘদিন সরকারবিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
নিয়োগ বাণিজ্য ও সরকারি জমি জবরদখল করে হাজার কোটি টাকার মালিক কীভাবে হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো অবৈধ সম্পদ আমি অর্জন করিনি। আমার সব সম্পদের আয়কর ফাইল আছে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে কাবিখা, কাবিটার প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে হাস্রাং রিসোর্ট নির্মাণ এবং সরকারি সুলার লাইট বিতরণ না করে নিজের রিসোর্টে স্থাপন করার বিষয়ে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা, আমি এসব কোনোটির সঙ্গে জড়িত নই।