সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল, জাতীয় পার্টির আপত্তি

image-713724-1693657944

‘সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি উত্থাপন করেন। এরপর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঁচ দিন সময় বেঁধে দিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে সেটি পাঠানো হয়। বিলে জাতীয় পার্টির একজন সদস্য আপত্তি জানিয়েছেন।

বিলটি উত্থাপনের শুরুতে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, এ বিলের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন অংশীজনরা। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সঙ্গে প্রস্তাবিত আইনের মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। প্রস্তাবিত আইনকে টিআইবি কালো আইন হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।

তিনি আরও বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম হলো- মতপ্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধের উপাদান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছিল। সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়ায়ও রাখা হয়েছে। তাই অনেকে এ খসড়া আইনকে নিবর্তনমূলক বলে মনে করছেন।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল সেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি সাইবার জগতে ঝুঁকিও বাড়ছে। সাইবার অপরাধগুলো এত বেশি মারাত্মক এবং এত বেশি জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ যে তথ্য ও উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য এটা বেশি প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যেগুলো অজামিনযোগ্য ছিল সেগুলো নতুন আইনে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। তবে শুধু চারটি ধারা অজামিনযোগ্য হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটিকে উদার ও ভবিষ্যৎমুখী বলেও উল্লে­খ করেন পলক।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিচার চলবে : এর আগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশ করে। শুরু থেকে এ আইন নিয়ে সাংবাদিকদের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে। সমালোচনার মুখে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইন করতে যাচ্ছে। যদিও ডিজিটাল আইনের বেশির ভাগ ধারা অনেকটা অবিকৃত রেখে নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার।

এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত হলেও এ আইনে করা মামলাগুলোর বিচার নতুন আইনে হবে না, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেই চলবে।

Pin It