দীর্ঘ অপেক্ষার পর মানিকগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র নির্মিত বঙ্গবন্ধুর চত্বর উদ্বোধন হলো। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মানিকগঞ্জবাসীর স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু চত্বর উদ্বোধন করেন।
জেলা পরিষদের অর্থায়নে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরটি নির্মাণ করা হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর চত্বরে পুকুরের চতুর্দিকে ৭১৫ ফুট ওয়াকওয়ে এবং ১১৩ লম্বা ৩৬ ফুট উচ্চতা উড়ন্ত লাল সবুজ পতাকায় ম্যুরাল চিত্রে বঙ্গবন্ধুর জীবনী, ইতিহাস ছাড়াও ৫২ ভাষা আন্দোলন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ৫৩ সালের প্রভাত ফেরিতে বঙ্গবন্ধু ও ভাসানী ১৯৯৬ সালের ৬ দফা, ৬৯ গণঅভ্যুত্থান ও ৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ভোট প্রদান রয়েছে। এছাড়া ৭ মার্চের ভাষণ যেখানে বঙ্গবন্ধুর মাথার পেছনে পতাকায় লাল রং যেটাকে শিল্পের ভাষায় বোঝানো হয় সূর্যসম শক্তি।
অপর দিকে বঙ্গবন্ধুর ৪ বছরের দেশ শাসন জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রে প্রধানের সঙ্গে মিটিং তারই একাংশে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে কুশল বিনিময়। এর পর ৭৫ সালে ভয়াল রাতে পুরো পরিবারের ছবি এই কষ্টটা শিল্পীর দক্ষ ও মেধার রক্তাক্ত বঙ্গবন্ধুর ভাঙ্গা চশমা দিয়ে বুঝিয়েছেন।
এছাড়াও জাতীয় চার নেতার পাশাপাশি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও হাতে তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা বিনিময়। লাল সবুজ উড়ন্ত পতাকায় শিল্পী শাওন সগীর অনবদ্য ঐতিহাসিক বিষয়কে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর চত্বরে হচ্ছে দেশের ইতিহাসের প্রতিচ্ছবি। এখানে আসলে দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু চত্বর নির্মাণ করা হয়েছে।