রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিমের দাফন সম্পন্ন

image-130026-1710170876

পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলালের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিমকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার জানানো হয়। পরে সেখানে নামাজে জানাজা শেষে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিকরা ফুল দিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং পরিবারের সদস্যরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

রোববার সন্ধ্যা ৮টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।

ইহসানুল করিম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ১৯৪৯ সালে কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সাংবাদিকতায় ¯œাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর হয়ে পশ্চিম রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেন।

ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সংবাদ সংস্থার বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়া দিল্লিতে বাসস’র ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন।

তিনি বাসস থেকে অবসর গ্রহণের পর, একই বছরের ২০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে প্রথমে এক বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বার-তিন বছর করে বৃদ্ধি করা হয়।

Pin It