ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে অপহরণের মাধ্যমে হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়ার কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে দাবি তার।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সাইদুল করিম মিন্টুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। তার পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন।
এরপর দুপুরে রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক আসামি সাইদুল করিম মিন্টুর কাছে তার কিছু বলার আছে কিনা জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাওয়াটাই আমার অপরাধ।
এরপর শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ১১ জুন বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এর আগে গত ৬ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে আসে ডিবির একটি দল। এরপর গত ৯ জুন তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ মামলায় গত ৩ জুন আসামি শিলাস্তি রহমান, ৪ জুন তানভীর ভূঁইয়া এবং ৫ জুন সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।