হিজবুল্লাহ তাদের নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেছে। তার নাম নাইম কাসেম।
মঙ্গলবার নামটি ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। খবর আল জাজিরার।
কাসেম ছিলেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির উপনেতা। তিনি গোষ্ঠীটির সেক্রেটারি-জেনারেল হিসেবে হাসান নাসরুল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হলেন। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হন।
গত মাসে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর ওপর তাদের দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করে। সেই থেকে গোষ্ঠীটির শীর্ষ কয়েকজন নেতা ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, কাসেমকে হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। কারণ তিনি দলের নীতি ও লক্ষ্যগুলোর প্রতি অবিচলভাবে অনুগত।
এ ছাড়া গোষ্ঠীটি আরও বলেছে, তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছে, যেন কাসেম হিজবুল্লাহ ও তাদের ইসলামি প্রতিরোধের নেতৃত্বে এ মহান দায়িত্ব পালনে সঠিক পথে পরিচালিত হন।
নাসরুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ফলে হিজবুল্লাহর সাংগঠনিক পর্যায়ে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়।
নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তার খালাত ভাই হাশেম সাফিদ্দিন ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির নতুন নেতৃত্বে আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে বৈরুতে ইসরায়েলের আরেক হামলায় তিনিও নিহত হন।
৭১ বছর বয়সী কাসেমকে প্রায়শই হিজবুল্লাহর “নাম্বার টু” বলা হতো। শিয়া রাজনীতিতে তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। গত শতকের আশির দশকের শুরুতে গোষ্ঠীটি গঠন করা ধর্মীয় পণ্ডিতদের একজন তিনি।
২০০৬ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর যখন নাসরুল্লাহ মূলত আত্মগোপনে চলে যান, তখন তিনি ছিলেন হিজবুল্লাহর সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতা যিনি জনসমক্ষে উপস্থিতি বজায় রেখেছিলেন।
নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর তিনটি টিভি ভাষণ দেন কাসেম। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রতিবাদী এক বার্তায় বলেন, হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এবং জিততে প্রস্তুত।