হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জাতীয় পার্টির সাবেক এক সংসদ সদস্যকে জনতা পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
রোববার বিকালে চুনারুঘাট পৌরসভার পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই বেইলি ব্রিজে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল পিটুনির শিকার হন বলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান জানান।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা (৫৮) ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বিকালে রানা মোহাম্মদ সোহেলকে বহনকারী গাড়িটি শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি যাওয়ার পথে চুনারুঘাট খোয়াই বেইলি ব্রিজে যানজটের মুখে পড়ে।
এ সময় গাড়িটি পেছনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রানা মোহাম্মদ সোহেল তার সঙ্গে থাকা পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েন।
তখন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আশপাশের মানুষ সেখানে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে জনতা রানা মোহাম্মদ সোহেলের ওপর চড়াও হয়। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়।
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “পিস্তলসহ রানা মোহাম্মদ সোহেলকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার বাড়ি রংপুর জেলার কেরানীপাড়া এলাকায়। তিনি রাস উৎসব দেখতে শ্রীমঙ্গল এসেছিলেন। পরে শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান বলেন, “সেনাবাহিনী তাদের লোক হিসেবে তাকে হেফাজতে নিয়ে গেছে। আমরা তার অস্ত্রটি জব্দ করেছি। অস্ত্রটি লাইসেন্স করা কিনা যাচাই-বাচাই চলছে।”
তিনি বলেন, “সাবেক মেজর কেন কী কারণে গুলি করলেন বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে।”