কার্টি-জঙ্গুর জুটিতে একশ
পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান তুলছেন কেসি কার্টি। সাবধানী শুরুর পর রানের গতি বাড়িয়েছেন আমির জঙ্গু। তাদের জুটি একশ স্পর্শ করেছে ৮৯ বলে।
নতুন বোলার আফিফ হোসেনের ওভারের শেষ বলে জঙ্গুর ছক্কায় জুটির রান যায় তিন অঙ্কে।
২৯ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৯০। ৭৫ বলে কার্টির রান ৮৪। ৪২ বলে জঙ্গু খেলছেন ৪৬ রানে।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন কার্টি
এলবিডব্লিউর জোরাল আবদনে আম্পায়ার সাড় না দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে গেলেন কেসি কার্টি।
নাসুম আহমেদের বলে প্যাডেল সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে বলে করতে পারেননি কার্টি। বাঁহাতি স্পিনারের ডেলিভারি ছুঁয়ে যেত লেগ স্টাম্প। তাই বেঁচে যান ব্যাটসম্যান, তবে টিকে যায় বাংলাদেশের রিভিউ।
২৬ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৬৫।
বাংলাদেশ যেখানে, মাঝপথে উইন্ডিজও সেখানে
২৫ ওভারে ১৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশও ২৫ ওভারে ১৫০ রানই করেছিল।
বাংলাদেশ অবশ্য এই রান করেছিল ৩ উইকেট হারিয়ে, স্বাগতিকরা করেছে ৪ উইকেটে।
২৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৫০। ৬৪ বলে ৬৯ রানে ব্যাট করছেন কেসি কার্টি। ২৯ বলে আমির জঙ্গু খেলছেন ২১ রানে।
================================================================================
বাংলাদেশ দুই উইকেট হারালো দ্রুতই। দুজনেই ফিরলেন শূন্য রানে।
এরপর হাল ধরলেনন সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের বিদায়ের পরও দলকে পথ হারাতে দেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলি অনিক। তাদের দুজনের জুটিতে তিনশ ছাড়িয়েছে দলের রান।
বৃহস্পতিবার সেন্ট কিটসে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান করেছে বাংলাদেশ। এই মাঠে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আর নেই। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৯৪ রান তাড়া করেছিল, সেটিই এখন সর্বোচ্চ।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫ বলে কোনো রান করার আগেই সাজঘরে ফেরত যান তানজিদ হাসান তামিম। আলজারি জোসেফের বলে ক্যাচ দেন তিনি। এক বল পর শূন্য রানেই আউট হন তানজিদ হাসান তামিমও।
এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১২৭ বলে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন সৌম্য ও মিরাজ। গুদাকেশ মোতির বলে সৌম্য এলবিডব্লিউ হলে এই জুটি ভাঙে। ৭২ বল খেলে ৬ চার ও চারটি ছক্কায় ৭৩ রান করে আউট হন তিনি। মিরাজও রান আউট হয়ে যান ৭৩ বলে ৭৭ রান করে।
এই সিরিজেই দলে সুযোগ পাওয়া আফিফ হোসেন ব্যর্থ হন আরও একবার। ২৯ বল খেলে ১৫ রান করেন তিনি। তবে বাংলাদেশকে পথ হারাতে দেয়নি মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলির জুটি। ১১৭ বলে ১৫০ রানের জুটি গড়েন তারা।
তাদের জুটিতে ভর করে বাংলাদেশের রানও তিনশ ছাড়িয়ে যায়। ৬৩ বলে ৭টি চার ও চারটি ছক্কায় ৮৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৭ বলে ৬২ রান আসে জাকের আলির ব্যাট থেকে। দুজনেই থাকেন অপরাজিত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৫ (তানজিদ ০, সৌম্য ৭৩, লিটন ০, মিরাজ ৭৭, আফিফ ১৫, মাহমুদউল্লাহ ৮৪*, জাকের ৬২*; জোসেফ ১০-১-৪৩-২, ব্লেডস ৬-০-৭৩-০, শেফার্ড ১০-১-৬৫-০, চেইস ৮-১-৩৮-০, মোটি ১০-০-৬৪-১, রাদারফোর্ড ৬-১-৩৭-১)।