‘নিরাপত্তাজনিত’ কারণে ঋতুপর্ণার পরিবর্তে শ্রীলেখা মিত্রকে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিদ পলাশ।
পশ্চিমবঙ্গের তারকা অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে ঢাকায় ‘তরী’ সিনেমা বানানোর খবর এসেছিল সরকার পতনের আগের মাসে। পাঁচ মাস পর জানা যাচ্ছে, এই সিনেমার নায়িকা বদলে গেছে।
ঋতুপর্ণার বদলে রাশিদ পলাশের ‘তরী’তে যুক্ত হচ্ছেন কলকাতার আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
এই বদলের কারণ হিসেবে পলাশ তুলে ধরেছেন ‘নিরাপত্তাজনিত’ বিষয়।
পলাশ গ্লিটজকে বলেন, “আমাদের শুটিং লোকেশন যেখানে, সেখানে অনেক মানুষের সমাগম থাকবে। দেশের এখন যে পরিস্থিতি তাতে কোনো একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে সেটার দায় কেউ এড়িয়ে যেতে পারবে না।
“তাছাড়া ঋতুপর্ণা দিদি এদেশেও অনেক জনপ্রিয়। তার শুটিংয়ে ভিড় সামাল দেওয়া, শুটিং শেষ করতে পারব কী না সেটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
‘তরী’র দ্বিতীয় অংশের শুটিং হওয়ার কথা ছিল অগাস্ট বা সেপ্টেম্বরে। ওই দফায় ঋতুপর্ণার যুক্ত হওয়ার কথা ছিল।
এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর ভিসা জটিলতা তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন পলাশ।
তিনি বলেন, “ভিসা জটিলতায় ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া যাচ্ছিল না। এখন সিনেমার স্বার্থেই অভিনেত্রী পরিবর্তন করা হয়েছে, এটা জটিল কিছু না। শ্রীলেখা মিত্রও দারুণ অভিনয় করেন। আমাদের গল্প পছন্দ করেছেন।”
শ্রীলেখা মিত্রের ভিসা প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে পলাশ বলেছেন, আশা করা যায় আগামী বছরের শুরুতে ‘তরী’ সিনেমার শুটিং শুরু করা যাবে।
নির্মাতার ভাষ্য, সিনেমার প্রথম পর্বের শুটিং শেষ। এখন দ্বিতীয় অংশের জন্যই অপেক্ষা।
আহাদুর রহমানের গল্পে এই সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন গোলাম রাব্বানী। প্রযোজনায় আছে পুণ্য ফিল্মস।
এদিকে রাশিদ পলাশের ‘রঙবাজার’ নামের একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
পলাশ বলেছেন নব্বই দশকে দেশের আলোচিত নারায়ণগঞ্জের টানবাজার পল্লী ভেঙে ফেলার পেছনের গল্প নিয়ে তিনি ‘রঙবাজার’ সিনেমাটি বানিয়েছেন।
কবে মুক্তি জানতে চাইলে বলেন, “সিনেমাটি প্রস্তুত, দেশের পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে মুক্তি দেওয়া হবে।”