আগামী সোমবারের মধ্যে ‘জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে’ শহিদদের তালিকা তৈরি করে পরবর্তী ক্যাবিনেটে পাঠানো হবে। তবে এ তালিকা সর্বশেষ তালিকা নয়। এখনো তথ্য যাচাই-বাছাই ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে। পরবর্তীতে আরও শহিদদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়া গেলে সেটাও তালিকায় এনে ক্যাবিনেটে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ও শহিদের পরিবারের পুনর্বাসন বিষয়ে সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা খন্দকার জহিরুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত ৮৫৯ জন শহিদের ভেরিফায়েড তথ্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে পেয়েছি। এটা যদিও চূড়ান্ত নয়। এ ব্যাপারে কাজ অব্যাহত আছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান জানান, হাসপাতালে আহত রোগীদের খাবারের মানোন্নয়নে বরাদ্দ বৃদ্ধির ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি, বরাদ্দ বৃদ্ধিতে খাবারের মানে দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাবে। এ ছাড়া সব হাসপাতালে পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনো অবস্থাতেই রোগীদের যেন নিজের টাকা খরচ করে চিকিৎসার জন্য কিছু কিনতে না হয়।
সভায় অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা, শহিদ ও আহতদের তালিকা চূড়ান্তকরণ, শহিদের পরিবার ও আহত রোগীদের পুনর্বাসন, পুনর্বাসনের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সময় জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম জানান, এ পর্যন্ত ৫২৫ শহিদ পরিবার এবং ১ হাজার ৪১০ জন আহতকে ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব ডা. সারোয়ার বারী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. নাজমুল হোসেন প্রমুখ।