সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন

suprem-court-678a436a2bb01

উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য একটি স্বাধীন ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠনে একটি অধ্যাদেশ চূড়ান্ত হয়েছে। এজন্য গতকাল (১৬ জানুয়ারি) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়।

শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে। শিগগিরই লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের রুটিন ভেটিং সাপেক্ষে অধ্যাদেশটির খসড়া চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কার রোডম্যাপের পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়নে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত হবে।

গণসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই দেশের বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি সুপ্রিমকোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা, সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং দেশের জেলা আদালতগুলোর বিচারকদের সম্মুখে বিচার বিভাগ আধুনিকায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। এই রোডম্যাপে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য একটি স্বাধীন ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’ গঠন করার বিষয়ে তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, প্রথাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিষদ গবেষণা পরিচালনাপূর্বক একটি প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়।

Pin It