পুতিনকে কি ‘বিপদে’ ফেলছেন ট্রাম্প ?

trump-6-678e8646374eb

ক্ষমতার মসনদে বসেই একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিশ্র“তি পূরণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল তার কণ্ঠে।

ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ না করলে শুল্ক আরোপের পাশাপাশি আরও বেশি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে রাশিয়া। ফলে যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যেই চাপে থাকা রাশিয়ার অর্থনীতি নিয়ে বেশ উদ্বেগেই আছেন পুতিন। রয়টার্স।

নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনকে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে না হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার ট্রাম্প এই প্রথমবার পুতিনকে নিয়ে মুখ খুললেন।

তিনি বলেছেন, ‘এখনই মীমাংসা করুন, এই হাস্যকর যুদ্ধ থামান। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আপনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে রাশিয়া ও যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্য দেশের বিরুদ্ধে চড়া হারে কর, শুল্ক বসানো ও আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আমার সামনে কোনো বিকল্প থাকবে না।’

ট্রাম্প আরও বলেছেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। চুক্তি করার জন্য এটাই সেরা সময়। আর কোনো জীবন যেন নষ্ট না হয়। নির্বাচনি প্রচারের সময় ট্রাম্প অবশ্য বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হবে তা তিনি বলেননি। এখন আরও নিষেধাজ্ঞা বলতে ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন সেটাও স্পষ্ট নয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো ইতোমধ্যেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউক্রেন অভিযানের কারণে একগাদা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত দুবছরে তেল, গ্যাস ও খনিজ রফতানি নির্ভর রুশ অর্থনীতির আকার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি সামলাতে উচ্চ সুদহারে একদিকে যেমন অভ্যন্তরীণ ব্যবসার গতি কমে গেছে, তেমনি কর্মী সংকটে দৈনন্দিন কাজ কর্মও চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। সোমবার হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নিয়েছেন ট্রাম্প।

প্রচারণার সময় থেকেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দ্রুত অবসান ঘটানোর অঙ্গীকার করে আসছেন তিনি। ট্রাম্প পুতিনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, সমঝোতায় রাজি না হলে রুশ অর্থনীতি বড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি প্রয়োজনে মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিতে দ্বিধা করবেন না। তবে আলোচনায় বসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব রাশিয়া এখনো পায়নি বলে মঙ্গলবার দাবি করেছেন ক্রেমলিনের এক কর্মী।

এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছেন পুতিন। তবে তার শর্ত হচ্ছে, পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের খায়েশ ইউক্রেনের ত্যাগ করতে হবে এবং দেশটিতে ইতোমধ্যে রাশিয়ার কব্জায় আসা এলাকার দাবি ছেড়ে দিতে হবে।

Pin It