মিস ইউনিভার্স জিতলে যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হয় মুকুটজয়ীকে

980-691d72201f55e

আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় শহর পাক ক্রেটে অনুষ্ঠিত হবে ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসরের জমকালো গ্র্যান্ড ফাইনাল। এর মধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ১২১ দেশের প্রতিযোগীদের নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। এর মধ্যেই সব প্রতিযোগীকে নিয়ে নানা ধরনের কার্যক্রমের বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। নানা বিভাগে শুরু হয়েছে ভোটিং।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’ ২০২৫ সালের আসরে বিজয়ী পাবেন মুকুট ‘ফোর্স অব গুড’। যেখানে মুকুটে রয়েছে ১১০ ক্যারেট নীলকান্তমণি ও ৪৮ ক্যারেট সাদা হীরা। যার মূল্য প্রায় ৫.৭৫ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৭ কোটি টাকা। এই মুকুট এক বছরের জন্য পাওয়া যায়। স্থায়ী স্মৃতি হিসেবে দেওয়া হয় ১৫-২০ হাজার ডলারের রেপ্লিকা।

মিস ইউনিভার্স হওয়া শুধু সৌন্দর্যের মুকুট নয়; এটি এক বছরের জন্য স্বপ্নের রাজ্যে প্রবেশের সুযোগ। পুরো বছরজুড়ে রান্না, পোশাক, ভ্রমণ— কোনো কিছু নিয়েই চিন্তা করতে হয় না বিজয়ীকে। ব্যক্তিগত জেট, বিলাসবহুল আবাসন, আন্তর্জাতিক মিডিয়া কাভারেজ এবং দাতব্য কার্যক্রম— সব মিলিয়ে এক পরিপূর্ণ ও স্বপ্নময় যাত্রা।

‘মিস ইউনিভার্স’ মুকুট বিজয়ী হওয়ার পরবর্তী এক বছর সব খরচ বহন করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। চলুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতিযোগিতার বিজয়ী হলে কী কী সুযোগ-সুবিধা পান—

কোনো বিজয়ী মুকুট জয়ের পর প্রথম উপহার হিসেবে পান নগদ আড়াই লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় তিন কোটি টাকারও বেশি। এটি এক বছরের জন্য এনে দেয় আর্থিক নিরাপত্তা ও স্বপ্নপূরণের সুযোগ। দ্বিতীয়ত বিজয়ীকে এক বছরের জন্য দেওয়া হয় নিউইয়র্ক সিটির একটি লাক্সারি অ্যাপার্টমেন্ট। সেখানে থাকার পাশাপাশি অফিস, ফটোশুট, প্রেস মিট সব আয়োজনই থাকে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায়।

এ ছাড়া বিজয়ীকে দেওয়া হয় সবচেয়ে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধার একটি— ব্যক্তিগত বিমান বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগ। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে সফর, পাঁচতারকা হোটেল, খাবার–দাবার থেকে শুরু করে সব আয়োজন থাকে নিশ্চয়তার মধ্যে। তবে প্রতিটি সফরেই থাকতে হয় দাতব্য কাজের অংশগ্রহণ হিসাবে।

উল্লেখ্য, ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ২ নভেম্বর থাইল্যান্ডে পৌঁছান ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জয় করা মডেল-অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। দেশের পতাকা নিয়ে মুকুট জয়ের প্রত্যাশায় একের পর এক ধাপ উতরে যাচ্ছেন তিনি। প্রত্যাশা রয়েছে মুকুট জয়ের।

এর আগে বাংলাদেশ থেকে ২০১৯ সালে শিরীন শিলা এবং ২০২৪ সালে আনিকা আলম মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তবে মিথিলার এই অর্জন দেশের মিস ইউনিভার্স ইতিহাসে নতুন এক মাইলফলক স্থাপন করতে চলেছে।

‘মিস ইউনিভার্স’ মঞ্চে জামদানিতে মিথিলা

‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসরের জমকালো গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় শহর পাক ক্রেটে। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ১২১ দেশের প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যেই সব প্রতিযোগীকে নিয়ে নানা ধরনের কার্যক্রমের বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এ আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। শুরু হয়েছে বিভিন্ন বিভাগে ভোটিং কার্যক্রম।

মিথিলা বিশ্বের সামনে দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য তিনি বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্প— জামদানি শাড়ি। তার জাতীয় পোশাকটি দেশের রাজকীয় ঐতিহ্য তুলে ধরেছে।

নিজের অনুভূতি ও পোশাকের বিশেষত্ব প্রকাশ করে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মিথিলা লিখেছেন— মিস ইউনিভার্স মঞ্চের জাতীয় পোশাকটি সজ্জিত হয়েছে একটি রাজকীয় জামদানি শাড়িতে, যা বাংলাদেশের রাজকীয় ঐতিহ্যের এক জীবন্ত উত্তরাধিকার।

তিনি বলেন, এটি এমন একটি কাপড়, যার প্রতিটি সুতায় রয়েছে শিল্পকলা, নিষ্ঠা এবং চিরন্তন কমনীয়তা। এই বিশেষ শাড়িটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি এবং এটি বুনতে সময় লেগেছে ১২০ দিনেরও বেশি। শাড়িটির ডিজাইনার হলেন— আফ্রিনা সাদিয়া সৈয়দা।

মিথিলার পরা এই জামদানি শাড়িতে ফুটে উঠেছে স্নিগ্ধ শাপলা মোটিফ। শাপলা হলো বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। শুধু পোশাকেই নয়, মিথিলার সোনার গহনাতেও শোভা পাচ্ছে একই শাপলা ফুল। ৬ ইয়ার্ডস স্টোরি লরা খান এ নকশা করেছেন।

এর আগে ২০১৩ সালে ইউনেস্কো এই প্রাচীন শিল্পকলাকে মানবতার এক অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা জামদানির চিরন্তন সৌন্দর্য এবং কারুশিল্পকে বৈশ্বিকভাবে উদযাপন করে। তাঁত থেকে উদ্ভূত এই জাতীয় পোশাকটি হাতে বোনা এক জামদানি শাড়ি, যা সৌন্দর্য, ঐতিহ্য এবং স্থিতিস্থাপকতার এক জীবন্ত প্রকাশ। এর ঐতিহ্য শুরু হয় ১৭ শতকের মোগল যুগ থেকে। সেই সময় জামদানি ছিল রানি ও অভিজাতদের কাছে মূল্যবান।

মিথিলার এ পোশাকটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সেরা সুতির তন্তু। এটি সজ্জিত হয়েছে স্বর্ণালি জরি মোটিফে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী তাঁতশিল্পীদের দ্বারা নিপুণভাবে বোনা হয়েছে এই বিশেষ শাড়িটি।

উল্লেখ্য, ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ২ নভেম্বর থাইল্যান্ডে পৌঁছান ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’-এর মুকুট জয় করা মডেল-অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। দেশের পতাকা নিয়ে মুকুট জয়ের প্রত্যাশায় একের পর এক ধাপ উতরে যাচ্ছেন তিনি। প্রত্যাশা রয়েছে মুকুট জয়েরও।

Pin It