পৃথিবীবাসীর কাছে মায়াবী চাঁদের বন্দনার শেষ নেই। নানা রূপে দৃষ্টির ক্যানভাসে হাজির হয়। গদ্য-পদ্য আর গীতিকায় তার রূপরচনা আছে বহু। জ্যোতির্বিজ্ঞানের আগ্রযাত্রায় এখন শিশুরাও জানে, চাঁদের নিজের আলো নেই। সূর্যের আলোতেই আলোকিত। আর চাঁদ আকাশে উদিত হয় না। অনবরত ঘুরতে থাকায় অবস্থান পরিবর্তনের কারণে সূর্য আড়াল হলেই চাঁদ দেখা যায়। তবে লোককথায় এই দেখা যাওয়াকেই বলা হয় চাঁদ ওঠা। মহাবিশ্বের অমোঘ নিয়মে সোমবারও আকাশে চাঁদ উঠবে। তবে তা হবে অন্যরকম- অনেক সুন্দর। কুসুমকোমল চাঁদকে দেখা যাবে লাল আভায় পরিপূর্ণ। কারণ এদিন পূর্ণ চন্দ্রগ্রাস ঘটবে। এ সময়ের চাঁদকে বলা হয় ‘সুপার ব্লাড মুন’।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৮টা ৩৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ড বিএসটিতে গ্রহণ শুরু হয়ে দুপুর ১টা ৪৮ মিনিট বিএসটিতে শেষ হবে। সকাল ১১টা ১২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড বিএসটিতে কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটবে। পৃথিবী থেকে দেখা যাবে ‘সুপার ব্লাড মুন’। তবে বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহণের সময় পৃথিবী থেকে চন্দ্রপৃষ্ঠ লাল আভায় উছলে উঠতে দেখা যাবে। পৃথিবী থেকে প্রসারিত আলো চাঁদের অন্ধকার স্থানে গিয়ে পড়ার কারণে এমনটি হবে। এ দৃশ্যকে সুপার ব্লাড মুন বলা হয়। নীল ও বেগুনি বর্ণের তুলনায় লাল রঙের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যেহেতু বেশি ছড়িয়ে যেতে পারে, তাই চাঁদ হবে লাল বলের মতো।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশে সুপার ব্লাড মুন দেখা যাবে না। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় গ্রহণটি পুরোপুরিভাবে এবং পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার কিছু স্থানে আংশিকভাবে দেখা যাবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এরপর ২০২১ সালের ২৬ জুন আবার দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এর আগে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই শেষবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়।