২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দুই বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন পেয়েছেন পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহুদুল হক ও আশরাফুল হুদা। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁদের করা আপিল আজ সোমবার শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দিয়েছেন। বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাদুর রউফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলায় দুই বছরের সাজার রায় হলেও আসামিরা ১৪ মাস যাবৎ বিচারপর্যায়ে কারাগারে ছিলেন। সেই দিক বিবেচনায় নিয়ে বিচারিক আদালত তাঁদের জামিন দিয়েছিলেন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর তাঁরা আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। হাইকোর্ট সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তাঁদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন এই আইন কর্মকর্তা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির বহু নেতা-কর্মী আহত হন।
১৪ বছর পর গত বছরের ১০ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। তাঁরা হলেন পুলিশের সাবেক তিন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আশরাফুল হুদা (গ্রেনেড হামলার সময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ছিলেন), শহুদুল হক ও খোদা বকশ চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি খান সাইদ হাসান ও মো. ওবায়দুর রহমান, জোট সরকারের আমলে মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও এএসপি আবদুর রশিদ।