বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোট ডাকাতি করে যে নৈতিক পরাজয় হয়েছে তা থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরানোর জন্য আওয়ামী লীগ বিজয় উৎসব পালন করছে।
শনিবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই পরাজয় হয়েছে। কীভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে, তা দেশের মানুষ দেখেছে। এই ভোট ডাকাতির পর বিজয় উৎসব করা বা আনন্দ করার কোনো মানে হয় না। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় ঢাকতে এবং জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে আওয়ামী লীগ এ বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দলের কোনো টানাপোড়েন নেই। এ ব্যাপারে দলের বিরোধী পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা অর্থাৎ গণতন্ত্রের বহুমাত্রিকতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সামনে নিয়ে আসেন।
ফখরুল বলেন, আজকে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে- যিনি জাতিকে স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত করেছিলেন, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তার জন্মদিনে আওয়ামী লীগ উৎসব পালন করতে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিয়েছি। গণতন্ত্রকে আমরা মুক্ত করবো, সর্বোপরি যিনি এই পতাকা ধরে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাকে মুক্ত করবো এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।